কৃতি ও সম্মাননায় সংগীতশিল্পীদের মিলনমেলা হবিগঞ্জে

জাঁকজমক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রদান করা হলো ‘চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড ২০১৮’। টানা একযুগ সংগীতে দেশের গুণী শিল্পীদের সম্মাননা জানানো হচ্ছে এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Sept 2018, 10:09 AM
Updated : 22 Sept 2018, 10:09 AM

এবার চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস ২০১৮ পাওয়ার্ড বাই সেভেন আপ এর চূড়ান্ত পর্বের জমকালো আসরটি ২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় হবিগঞ্জের ‘দ্যা প্যালেস’ লাক্সরী রিসোর্টের উন্মুক্ত চত্বরে। তিন ঘণ্টার জাকজমকপূর্ণ এই আয়োজনটির উপস্থাপনা করেন ফারজানা ব্রাউনিয়া। পরিচালনায় ইজাজ খান স্বপন।

নিজ জন্মস্থানেই আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করা হলো সুবীর নন্দীকে। সম্মাননা গ্রহণ করে সুবীর নন্দী বলেন, “আমার জন্মস্থান হবিগঞ্জ। এখানেই আমাকে সম্মানীত করা হলো। আমার জন্মভূমিতে চ্যানেল আই আমার প্রতি যে ভালোবাসা দেখিয়েছে আমি খুবই সম্মানীতবোধ করছি। এ সম্মাননা আমার একার নয়, পুরো হাবিগঞ্জ বাসির।”

সুবীর নন্দীর হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও চেক তুলে দেন চ্যানেল আই-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ এবং ট্রান্সকম বেভারেজস্ লিমটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খুরশীদ ইরফান চৌধুরী, ইমপ্রেস গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুর রশীদ মজুমদার, সংগীতজ্ঞ আজাদ রহমান এবং মোঃ খুরশীদ আলম।

এ আয়োজনকে কেন্দ্র করে সংগীতশিল্পীদের মিলনমেলায় পরিণতা হয়েছিলো হবিগঞ্জ।

অনুষ্ঠানে বাংলা গানের ইতিহাস পাঠ করেন আফসারা মিমি, শ্রী-কৃষ্ণ কীর্তন করেন চন্দনা মজুমদার, গজল করেন মিতালী মুখার্জী, লালন গীতি পরিবেশন করেন কিরণ চন্দ্র রায়, রবীন্দ্র সংগীত গেয়েছে তপন মাহমুদ, নজরুল সংগীত করেছেন ছন্দা চক্রবর্তী, দিজেন্দ্র সংগীত পরিবেশন করেছেন অনিমা রায়, আলতাফ মাহমুদ, ৫২-গান করেছেন শিমুল ইউসুফ, রবিন ঘোষের গান করেছেন ফাহমিদা নবী এবং স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রের শিল্পীরা পরিবেশন করেছেন দেশের গান।

এবার দেওয়া হয়েছে আজীবন সম্মাননাসহ ১৬টি ক্যাটাগরিতে সমালোচক পুরস্কার এবং ৬ ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন ভয়েজ অ্যাওয়ার্ড। চলতিবছর গুণী শিল্পীদের সম্মাননায় যুক্ত হয়েছে গোল্ডেন ভয়েজ অ্যাওয়ার্ডস ক্যাটাগরি । এ বছর এ পুরস্কার পেলেন- রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা (রবীন্দ্র সংগীত), ফেরদৌস আরা (নজরুল সংগীত), মমতাজ (লোক সংগীত), সামিনা চৌধুরী (ছায়াছবি গান), কুমার বিশ্বজিৎ (আধুনিক গান) এবং গোল্ডেন মেকার-আফজাল হোসেন।

পুরস্কার প্রদানের ফাঁকে ফাঁকে নাজমা জামান, পিলু মমতাজ, সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা এবং আঞ্জুমান আরা বেগমের গান পরিবেশন করেন মেহরীন, কোনাল, কনা, রমা, এলিটা এবং আলিফ। মৌলিক গান পরিবেশন করে চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ ঐশি, তিশা, মৌমিতা, ফাতেমা, লতা, তরিক এবং জনি।

তানজিল এবং ইগল ড্যান্সের কোরিওগ্রাফিতে নৃত্য পরিবেশন করেন নুসরাত ফারিয়া। হাসন রাজা, রাধা-রমন দত্ত, শাহ্ আব্দুল করিম-এর লোকসংগীত পরিবেশন করে চ্যানেল আই বাংলার গানের শিল্পী শারমিন, সেরাকণ্ঠ আশিক, দোলা, ঐশি, বিন্দু-কণা এবং রেশমী।

সেরাকণ্ঠ কোনাল এবং ইমরানের গানের সাথে পারফর্ম করেন লাক্স স্টার মিম মানতাসা এবং চ্যানেল আই-ফেয়ার এন্ড হ্যান্ডসাম আজাদ।

চলতিবছর পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- বীথি পান্ডে (রবীন্দ্র সংগীত), ছন্দা চক্রবর্তী (নজরুল সংগীত), সাগর বাউল (লোক সংগীত), আসিফ ইকবাল (গীতিকার), অটামনাল মুন(সংগীত পরিচালক), চন্দন রায় চৌধুরী (মিউজিক ভিডিও), মাসুম বিল্লাহ্ (কাভার ডিজাইন), এস আই সুমন (সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার), সিঁথি সাহা এবং চন্দন সিনহা (আধুনিক গান), অরণ্য (ব্যান্ড), রোমানা আক্তার ইতি (নবাগত), চিরকুট (ছায়াছবির গান) এবং গাজী আব্দুল হাকিম (উচ্চাঙ্গ সংগীত, যন্ত্র)।

বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন- শেখ সাদী খান, আব্দুর রশীদ মজুমদার, ফেরদৌসী রহমান, ফরিদা পারভীন, সিতারা জেবিন, সৈয়দ আব্দুল হাদী, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, দ্যা প্যালেস লাক্সারী রিসোর্ট-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফুর রহমান, শাহানা সিরাজ, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, মৌসুমী ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মঈনুদ্দীন আহমেদ টিপু, মোহাম্মদ আতাউর রহমান প্রদান, মানাম আহমেদ, নারী উদ্যোক্তা কনা রেজা প্রমুখ।