জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর সংস্কৃতি অঙ্গনে ছিলো নানা আয়োজন।
সংস্কৃতির নানা আয়োজনে উঠে আসে বাংলাদেশের অভ্যুদয় থেকে শুরু করে পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্টের বিভীষিকাময় স্মৃতিগুলো।
জাতীয় জাদুঘর
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরে ছিল কবিতা পাঠ ও আবৃত্তির আসর। কবি ও বাচিকশিল্পীরা কবিতার শব্দমালায় স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধুকে।
জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু যেভাবে এদেশের কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী তথা সৃজনশীল মানুষকে স্পর্শ করেছেন, তার তুলনা পৃথিবীতে সত্যিই বিরল। তাই সৃজনশীল মানুষেরা তাদের সৃষ্টিকর্মে বার বার বঙ্গবন্ধুকে খুঁজে পান।”
জাতীয় জাদুঘর এর মহাপরিচালক ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল মান্নান ইলিয়াসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সভাপতি শিল্পী হাশেম খান।
এই আয়োজনে কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠে অংশ নেন কবি নির্মলেন্দু গুণ, অসীম সাহা, রবিউল হুসাইন, মুহাম্মদ নূরুল হুদা, আনিসুল হক, রুবী রহমান, হাবীবুল্লাহ সিরাজী, কাজী রোজী, নূহ-উল-আলম লেনিন, তারিক সুজাত, শিহাব সরকার, কামাল চৌধুরী, মুহাম্মদ সামাদ, মোহাম্মদ সামাদ, মোহাম্মদ সাদিক, আসাদ মান্নান, আলম তালুকদার ও আসলাম সানী। বাচিকশিল্পী হিসেবে সৈয়দ হাসান ইমাম, আশরাফুল আলম, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, হাসান আরিফ, মাহীদুল ইসলাম, ডালিয়া আহমেদ, রফিকুল ইসলাম, লায়লা তারান্নুম চৌধুরী।
শিল্পকলা একাডেমি
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে ছিল আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান।
আলোচনা শেষে পরিবেশিত হয় সংগীতানুষ্ঠান। ছিল নৃত্যনাট্য ‘যতদিন রবে পদ্মা মেঘনা’র মঞ্চায়ন। নৃত্যনাট্যটি পরিচালনা করেন ওয়ার্দা রিহাব। গ্রন্থণায় ছিলেন কবি কামাল চৌধুরী।
এছাড়া জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা থেকে টুঙ্গীপাড়া শতবাউল শিল্পীদের ‘শিল্পযাত্রা’ নামে একটি আয়োজনও ছিল শিল্পকলা একাডেমির।
একই সময়ে সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হয় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড নিয়ে নাটক ‘শ্রাবণ ট্রাজেডি’। মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের ৪০তম এ প্রযোজনাটি রচনা করেছেন আনন জামান। পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ছিলেন আশিক রহমান লিয়ন।
একাডেমির জাতীয় সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে বাংলাদেশের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর মহান সংগ্রাম জীবন-ভিত্তিক ঐতিহাসিক নাট্যালেখ্য ‘মুজিব মানে মুক্তি’ মঞ্চস্থ হয়। লিয়াকত আলী লাকীর পরিকল্পনা, গ্রন্থনা, নাট্যায়ন ও নির্দেশনায় নাটকটি লোক নাট্যদলের বিশেষ প্রযোজনা।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় একাডেমির জাতীয় সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে পাঠ, কবিতায় বঙ্গবন্ধু ‘শ্রাবণের শোকগাঁথা, শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।