নিরাপদ সড়কের দাবিতে এক হলেন চলচ্চিত্রকর্মীরা

নিরাপদ সড়কের দাবিতে এক হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিয়াশীল চলচ্চিত্র সংসদসমূহ এবং বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকর্মীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শামসুন নাহার হল সংলগ্ন সড়কদ্বীপে স্থাপিত তারেক মাসুদ- মিশুক মুনীর স্মরণ স্থাপনার সামনে ৪ অগাস্ট বিকেলে তারা প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনের আয়োজন করে।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 August 2018, 06:10 PM
Updated : 6 August 2018, 09:45 AM

চলচ্চিত্র নির্মাতা ও ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক বেলায়াত হোসেন মামুনের সঞ্চালচনায় সমাবেশ ও মানববন্ধনে বক্তব্য প্রদান করেন বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী ড. হামিদা হোসেন, বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার ক্যাথরিন মাসুদ, চলচ্চিত্র গবেষক ও অধ্যাপক ড. ফাহমিদুল হক এবং চলচ্চিত্রকার প্রসূন রহমান। 

বক্তারা সমাবেশে বলেন, “সড়কে নৈরাজ্য চলছে বহুকাল ধরে। বারবার আমরা পিষ্ট হচ্ছি, আমাদের রক্ত-হাড়-মজ্জা মিশে যাচ্ছে কালসিটে পথে। আমাদের স্বপ্ন, আমাদের জীবন থমকে যাচ্ছে সড়কের মড়কে। এই মড়ক মনুষ্যসৃষ্ট; এই হত্যার বিস্তার মানুষের তৈরি। আর এইসব মানুষ বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থাকে, বাংলাদেশের আইনকে, বাংলাদেশের সড়ক ব্যবস্থাপনার সকল সিস্টেমকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে বারংবার। হত্যাকারীদের পিশাচের মত দাঁতাল হাসি আমাদের পথে নামতে বাধ্য করছে; আমাদের শিশু-কিশোরদের পথে নামতে বাধ্য করেছে; মানুষের জীবন সবচেয়ে মূল্যবান; আর তা সড়কের কালো পিচের রাস্তায় পিষ্ট হওয়ার নয়।”

“বাংলাদেশের সড়ক পথে যা ঘটছে তা হত্যাকাণ্ড; এগুলোকে দূর্ঘটনা বলে ছাড় দেয়ার কিছু নেই।” 

“গড়ি চালনার প্রশিক্ষণবিহীন চালক, ফিটনেসবিহীন গাড়ি- লাইসেন্সবিহীন গাড়ি ও মাদকাসক্ত চালক- হেল্পারদের পথে ছেড়ে দিয়ে রাষ্ট্র এই সব হত্যাকে ‘দূর্ঘটনা’ বলতে পারে না।” 

বিকাল ৫টায় মৌণ মানববন্ধন দিয়ে শুরু এ অনুষ্ঠানটির বক্তৃতা পর্ব শুরু হয় সন্ধ্যায়। বক্তৃতাপর্বের শেষে সন্ধ্যা ৭টায় সড়ক-মহাসড়কে নিহত সকলের স্মরণে একমিনিট নিরবতা পালন করে আলোক প্রজ্জ্বোলন করা হয়।

সমাবেশ ও মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার মসিহউদ্দিন শাকের, চলচ্চিত্রকার আবু সাইয়ীদ, শিল্পী সুলেখা চৌধুরী, চলচ্চিত্রকার জাঈদ আজিজ, চলচ্চিত্র সংসদকর্মী ডা. জহিরুল ইসলাম কচি, চলচ্চিত্র সংসদকর্মী ও আলোকচিত্রশিল্পী মীর শামসুল আলম বাবু, শিল্পী ও অ্যাকটিভিস্ট আহমেদ মনিরুদ্দিন তপু,  চলচ্চিত্রকার পলাশ রসূল, চলচ্চিত্রকার হুমায়রা বিলকিস, চলচ্চিত্র গবেষক ও লেখক বিধান রিবেরু, চলচ্চিত্রকার তাসমিয়াহ আফরিন মৌ, চলচ্চিত্রকার ও বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মৃদুল মামুন, চলচ্চিত্র সংসদকর্মী রোদেলা নিরুপমা, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চলচ্চিত্র সংসদকর্মী হাবিবুর রহমান, চলচ্চিত্রকার খন্দকার সুমন, চলচ্চিত্রকার ও চলচ্চিত্র সংসদকর্মী অদ্রি হৃদয়েশ, চলচ্চিত্রকর্মী আবির শ্রেষ্ঠ, চলচ্চিত্র সম্পাদক চৈতালী সমাদ্দর, চলচ্চিত্রকার অতনু পাটোয়ারী, চলচ্চিত্র সংসদকর্মী ও আলোকচিত্রশিল্পী সাদেক হোসেন সনি,  ম্যুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম আপন, চলচ্চিত্রকর্মী রিপন কুমার দাশ, চলচ্চিত্র সংসদকর্মী ও স্থপতি সাউদা আক্তার, চলচ্চিত্র সংসদকর্মী রাসেল আহমেদ রনি, চলচ্চিত্রগ্রাহক বিদ্রোহী দীপন, চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ন কবির শুভ, চলচ্চিত্রকর্মী সঙ্গীতা অপরাজিতাসহ অনেক তরুণ চলচ্চিত্রকার এবং চলচ্চিত্রকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।