রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নাট্যভ্রমণ

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির দুঃখ-দুর্দশার চিত্র ফুটে উঠছে দেশের বিভিন্ন নাটক ও চলচ্চিত্রে। ২০১৭ সাল থেকে চলতি বছর দুই দফায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরে থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের উদ্যোগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নাট্যগবেষণা পরিচালিত হয়। সে গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতেই মঞ্চে এসেছে রোহিঙ্গা জনসাধারণের দুঃখগাথা ‘পাঁজরে চন্দ্রবান’।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 July 2018, 02:00 PM
Updated : 21 July 2018, 02:00 PM

গবেষনা, প্রশিক্ষণ, সংলাপ ও পরিবেশনার সেই ধারাবাহিকতায় শনিবার থেকে তিনদিন আবারো কক্সবাজারের কুতপালং, উখিয়া, টেকনাফের শরনার্থী শিবির ও সমুদ্র সৈকতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরে থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের এম এ বর্ষের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে রোহিঙ্গা জনসাধারণকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন পারফরমেন্স অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে পাঁজরে চন্দ্রবান নাটকের নির্দেশক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীন বলেন, “শিল্পের মুক্ত ভাষায় জ্ঞানের বিচিত্র পদ্ধতির সংমিশ্রণে দেশীয় ও বৈশ্বিক জীবন-বাস্তবতার অন্যতর বোধ সৃষ্টি করাই থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের লক্ষ্য। তার ধারাবাহিক  প্রয়াসই আমাদের এবারের নাট্য ভ্রমণ। আশাহীন-ঘরহীন-রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাঝে এখনও ভীতি, শূন্যতা, একাকিত্ব গ্রাস করে আছে। তাদের বর্তমান অবস্থা থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে শরণার্থী জীবনের দুঃখ-কষ্ট, লড়াই, ইতিহাস, ক্ষোভ, হতাশাগুলোকে থিয়েটারের যে অপার সম্ভাবনা, সামাজিক শক্তি ও নান্দনিকতা আছে তার  মাধ্যমে প্রকাশ করাটাই আমাদের লক্ষ্য।”

এর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্য্যারয়ের নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে গত ১৯ জুলাই জিয়া হায়দার স্টুডিওতে ‘নাট্য ভ্রমণ : অর্ন্তগত জীবনের সহজিয়া উম্মোচন’ শিরোনামে পারফরমেন্সের মুখোমুখি হয়ে অভিনেতার আত্মকথন পদ্ধতিতে যৌথভাবে অংশ নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরে থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্য্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগ।

এর সৃজন ভাবনায় ছিলেন ড. ইসরাফিল শাহীন এবং একই বিভাগের শিক্ষক শাহমান মৈশান। আয়েজনটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান শামীম হাসান।

গেল বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এবং এ বছরের জানুয়ারি ও ফ্রেব্রুয়ারিতে কয়েক দফা গবেষণার শেষভাগে এসে এর সাথে যুক্ত হয়েছিলেন সমকালীন বিশ্ব পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক নাটকে বিশেষজ্ঞ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াসিংটন ডিসির জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষক ও নির্দেশক ড. ডেরেক গোল্ডম্যান। রোহিঙ্গা শরণার্থী জীবনের দুঃখ-কষ্ট, লড়াই, ইতিহাস, ক্ষোভ, হতাশাগুলো নিয়ে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন গবেষণা, প্রশিক্ষণ, সংলাপ ও পরিবেশনার আয়োজন করা হয়েছিল।