বৃহস্পতিবার তার ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন শাওন।
তিনি বলেন, “হুমায়ুন আহমেদ যা করে গেছেন তার কর্ম, লেখা, নির্মাণ-সব কিছুর মধ্যে উনি বেঁচে আছেন।”
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মেহের আফরোজ শাওন তার দুই পুত্র সন্তান নিষাদ, নিনিত ও তার বাবা মোহাম্মদ আলী নুহাশ পল্লী পৌঁছান। হুমায়ূনের কবর জিয়ারত করেন।
জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের শাওন বলেন, “ক্যান্সার হাসপাতালের কথা হুমায়ূন আহমেদ তার লেখায় বলে গেছেন। এটা আমার একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। সামগ্রিকভাবে এটা হওয়ার একটা চেষ্টা চালাতে হবে। সেই চেষ্টা আমাদের দেশের গুণীজন, বুদ্ধিজীবি ও নীতিনির্ধারক যারা আছেন তাদের প্রত্যেকবার আমি সেই অনুরোধ করি।”
তিনি আশা করছেন, তারা যদি সম্মেলিতভাবে ডাক দেন তাহলে হুমাষূন আহমেদের সেই স্বপ্নের হাসপাতাল হবে।
এদিন সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিড় করেন হুমায়ূনভক্তরা হাজির হন গাজীপুরের পিরুজালী এলাকার নুহাশপল্লীর লিচু তলায়। উপস্থিত ছিলেন হলুদ পাঞ্জাবী পড়া হিমু পরিবারের ও হিমু পরিবহনের সদস্যরা।
১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এ লেখক-নির্মাতা। তার বাবা ফয়েজুর রহমান ও মা আয়েশা ফয়েজ। ২০১২ সালে ১৯ জুলাই মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।