মাদার পীরের আখ্যান অবলম্বনে রচিত এ নাটকে উঠে এসেছে বাংলার লোকরীতিভিত্তিক মাদার পীরের পালাগান। এমন একটি সম্প্রদায়কে ঘিরেই নাটকের কাহিনির সূত্রপাত ঘটে। উত্তরাধিকার সূত্রে মাদার বন্দনার প্রধান জরিনা বিবি। বছরের পর বছর পালন করে চলছে মাদারের সব আনুষ্ঠানিকতা।
এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি চৌধুরীর দৃষ্টি পড়ে জরিনার ভূসম্পত্তি ও তালুকের ওপর। কিন্তু মাদার ভক্তদের একতার ভয়ে এবং মাদারের অলৌকিক শক্তি সম্পর্কে প্রচলিত জনমতের কারণে চৌধুরী সুবিধা করতে পারে না। তাই সে বিধবা জরিনা বিবির নাতনির সঙ্গে নিজের প্রতিবন্ধী নাতির বিয়ের ফন্দি আঁটে। কিন্তু জরিনা তাতে রাজি হয় না।
নাটকটি সম্পর্কে নির্দেশক লোপা বলেন, “মাদার পীরের এক ভক্ত সম্প্রদায়কে ঘিরে নাটকটির গল্প গড়ে উঠেছে। আংশিক সত্য একটি ঘটনাকে নিয়ে নাট্যকার লোক আঙ্গিক রীতিতে নাটকটি রচনা করেছেন, কিন্তু পরিবেশনার ক্ষেত্রে আমি লোক আঙ্গিক রীতি থেকে সরে এসেছি কারণ এ নাটকটি মঞ্চায়নে আমি নাগরিক পরিবেশনরীতিকেও অবলম্বন করতে চেয়েছি। নাট্যকার জীবনের একটি নিগুঢ় সত্যকে অনুসন্ধান করেছেন, তার সাথে তাল মিলিয়ে আমি সকল কুশীলবকে নিয়ে সেই পরমের সন্ধান করেছি।”
নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- তাজমিনূর, শিশির রহমান, পারভীন আখতার পারু, শামীমা আক্তার মুক্তা, শরিফ ইসলাম প্রমুখ। জুনায়েদ ইউসুফের সেট ও আলোক পরিকল্পনায় নাটকটির সঙ্গীত পরিকল্পনায় রয়েছেন পরিমল মজুমদার।