প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য আজীবন সম্মাননা নেওয়ার অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০১৬ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে চিত্রনায়িকা ফরিদা আক্তার ববিতার সঙ্গে যুগ্মভাবে এই সম্মাননা দেওয়া হয় তাকে।
ফারুকের অভিযোগ, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর থেকে চলচ্চিত্রে সম্মননা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তিনি।
“আমি বঙ্গবন্ধুর কথা বলি। এই দোষে দোষী হলে আমি আজীবন দোষ করব। ৫৭ বছর বঙ্গবন্ধু ও সম্মানিত প্রধানমন্ত্রীর আদর্শকে লালন করে আসছি।...আমারও সারা দেশ ঘুরে অফিসিয়ালি বলতে ইচ্ছা করে। এর বিচারের ভার সম্মানিত প্রধানমন্ত্রীর হাতে দিয়ে গেলাম।”
বক্তব্যে ঢাকাই চলচ্চিত্রের বিকাশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফারুক। বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসার কারণেই বিভিন্ন সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন বলে জানান তিনি।
১৯৮৩ সালে তৎকালীন সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদের শাসনামলে আয়োজিত চলচ্চিত্র দিবসের অনুষ্ঠানের ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, “ওই রাষ্ট্রপ্রধান নাকি গানও লিখতে পারতেন। অনেক সময় নাচতেনও নাকি। তিনি নিজেকে শিল্পী বলতেন। জনগণ তাকে বলতেন স্বৈরাচার।
গত সপ্তাহে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ফারুক বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ থেকে ‘সবুজ সংকেত’ পেলে আগামী সংসদ নির্বাচনে রাজনীতির মাঠে দেখা যেতে পারে তাকে।
গাজীপুর-৫ (কালীগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
শুধু কালীগঞ্জ নয়, পুরান ঢাকা, গুলশান, উত্তরা এলাকা থেকেও মনোনয়ন পেলে প্রার্থী হতে রাজি এই চিত্রনায়ক।
প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে বক্তব্যে চলচ্চিত্র শিল্প নিয়ে দাবিও তুলে ধরেন ফারুক।
তিনি বলেন, “আমরা চলচ্চিত্র বানাই। কিন্তু আমরা বড় অসহায়। চলচ্চিত্র দেখাতে পারি না। টু-কে রেজুলেশনের প্রজেক্টর মেশিন আমাদের নেই।”
প্রজেক্টর মেশিন যেন শিগগিরই আসে তার বন্দোবস্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেন তিনি।
অল্প সুদে হল মালিকদের ঋণ দেওয়া হলে সিনেমা শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।