অনুদান পেল স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ওমর ফারুকের মা’

জাহিদুর রহমান বিপ্লবের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ওমর ফারুকের মা’ ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে সরকারি অনুদানের জন্য মনোনীত হয়েছে।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 July 2018, 01:17 PM
Updated : 8 July 2018, 01:17 PM

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একটি ঘটনার ছায়া অবলম্বনে এ চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কাহিনীকার মাসুম রেজা।

চলচ্চিত্রের গল্প আবর্তিত হয়েছে পিরোজপুরের নেছারাবাদের মুক্তিযোদ্ধা ওমর ফারুক ও তার মাকে ঘিরে।

ওমর ফারুক তখন ২১ বছরের তরুণ, ছিলেন পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি। যুদ্ধের সময় এক রাতে মাকে কথা দিয়ে গিয়েছিলেন, রাতে ফিরে মায়ের হাতে ভাত খাবেন।

ওমর ফারুকের আর ফেরা হয়নি। সেই রাতে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। তার কাছে বাংলাদেশের সাতটি পতাকা পায় পাকিস্তানি সেনারা।

হানাদার বাহিনীর হাতে মৃত্যু হয় ফারুকের। হাতুড়ি পেটা করে একটি পতাকা ঢুকিয়ে দেওয়া হয় তার মাথায়। শহীদ ওমর ফারুকের লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হয় কীর্তনখোলার জলে।

এরপর ৪৬ বছর পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি ওমর ফারুকের মায়ের অপেক্ষা। মা আজও ছেলের অপেক্ষায় তিনবেলা হাড়িতে ভাত বসান, রাতে সদর দরজা খোলা রাখেন ছেলের অপেক্ষায়; ছেলে আসবে সেই বিশ্বাসে। 

নির্মাতা জানান, ছবিটির প্রি-প্রোডাকশনের কাজ চলছে। শিগগিরই শিল্পী ও কলাকুশলীদের তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। শুটিংয়ের তারিখ ঠিক হয়েছে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি । দৃশ্যধারণ হবে পিরোজপুর ও বরিশালের বিভিন্ন লোকেশনে।

পরিচালক বলেন, “চলচ্চিত্রটির লোকেশন দেখতে প্রথমবারের মতো পিরোজপুর ও বরিশাল যাওয়ার অভিজ্ঞতা ও প্রাপ্তি দুটোই অনেক ভালো। গল্পের সাথে সঙ্গতি রেখে মনের মতো লোকেশন পেয়েছি।”

চলচ্চিত্রটির মূলভাবনা, গল্প, প্রযোজনা, পরিচালনা, ক্যামেরা পরিচালনা ও সিনেমাটোগ্রাফি জাহিদুর রহমান বিপ্লবের নিজের।