ঈদে আপনার দুটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। কেমন রেসপন্স পাচ্ছেন?
ঈদের দিন থেকেই খুব ভালো রেসপন্স পাচ্ছি। এবার তো আমরা সবাই জানি, বিশ্বকাপ নিয়ে একটা উন্মাদনা চলছে। তারপরও যে সবাই ঈদের ছবিগুলো দেখছে হলে গিয়ে এটা খুব ভালো লাগছে। আমার দু’টি ছবিই একেবারে ভিন্ন দুটি আমেজের। ‘সুপার হিরো’ ছবিটি নিয়ে একদমই বলার সুযোগ পাইনি। প্রচার-প্রচারণায়ও অংশ নিতে পারিনি, কারণ এটা ঈদের একদিন আগে মাত্র সেন্সর পেয়েছিলো। আমরা নিজেরাও অনেক অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলাম-যেহেতু অনেক বাধা ছিলো ছবিটি মুক্তির ব্যাপারে। তারপরও দর্শকের ছবিটির ব্যাপারে অন্যরকম আগ্রহ আছে, সবাই হলে গিয়ে দেখছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতিক্রিয়া বলুন, হল রিপোর্ট বলুন সব জায়গা থেকেই রিপোর্ট ভালো।
ভালোলাগার জায়গা থেকে কোন ছবিটার প্রতি আপনার পছন্দের পাল্লাটা ভারী হবে?
এটা আসলে আমার বলা উচিত হবে না। কেননা দু’টি ছবির জন্যই আমার ডেডিকেশনটা ছিলো, কষ্ট করেছি। তাই আমার কাছে নাম্বারিং করা বা এগিয়ে রাখার ব্যাপারটা একটু কঠিন। তবু থাকে, ভালো লাগার ব্যাপারটা হয়তো কোনটার প্রতি বেশি থাকে। আমার ক্ষেত্রে দুটো ছবিই সমান।
‘সুপার হিরো’ ছবির একটি দৃশ্যে আপনার পোশাক ও শারীরিক পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই ধারণা করেছে আপনি হয়তো মা হতে চলেছেন। এ নিয়ে আপনি কি বলবেন?
ছবিটি যারা দেখেছে তারা হয়তো বুঝবেন তখন ‘সুপার হিরো’ তে আমার ফিটনেস কেমন ছিলো, বুম বুম গানটি বা অন্য গানগুলোও যারা দেখেছেন। ক্যামেরাতে মাঝে মাঝে এমন লাগতেই পারে। আরেকটা ব্যাপার, আমরা বাঙালিরা শারীরিক গঠনও কিন্তু একটু অন্যরকম। বলিউডের নায়িকাদের মতো অতো স্লিম হয়তো আমরা চাইলেও হতে পারি না। আমাকে যারা দেখেছেন তারাও বলতে পারবেন আমার ফিটনেস কেমন।
হলে গিয়েছিলেন ছবিগুলো দেখতে?
বোরকা পরে কেন?
আসলে আমি চাই সিনেমা চলাকালীন দর্শকের মনোযোগটা সিনেমার দিকেই থাকুক। আমাকে দেখে একটুর জন্যও যেন তা বিঘ্ন না ঘটে। একদম লোকাল হলগুলোতেও তাই আমি এভাবেই গিয়েছি।
বোরকা ছাড়া যখন নায়িকা বুবলি সাধারণ মানুষের কাছে যান, ভক্তদের প্রতিক্রিয়া কেমন দেখতে পান? ক্যারিয়ারের এ পর্যায়ে এসে কি মনে হয় সাধারণ দর্শকের কাছে কতোটা পৌঁছেছেন?
আমার আসলে খুব একটা পাবলিক প্লেসে যাওয়া হয় না। এছাড়া দেশের মধ্যে যখন বিভিন্ন লোকেশনে শুটিং করতে যাই পাবলিক প্লেসে, তখন আসলে বোঝা যায় যে আগের চেয়ে ভালোবাসাটা অনেক বেড়েছে। সবার মধ্যে কৌতুহলটা কাজ করে। এটা আসলে ভীষণ ভালো লাগে। সাধারণ দর্শকদের জন্যই তো আমরা কাজ করি।
শাকিব খানের বিপরীতে আপনার দু’টি ছবির মহরত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মঙ্গলবার। ছবিগুলো প্রসঙ্গে বলুন।
বড়পর্দায় শাকিব খান ছাড়া এককভাবে নায়িকা বুবলির গ্রহণযোগ্যতা কতোটুকু তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন?
শাকিব খান অনেক বড় একজন অভিনেতা। আমার ছবিগুলোতে তিনি ছাড়াও আমাদের অনেক বড় বড় চরিত্রঅভিনেতাদেরও পেয়ে আসছি। তবে একজন সহশিল্পী হিসেবে বা নায়িকা হিসেবে যখন শাকিব খানের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করি তখন তো আসলে এমন হয় যে, দর্শকের চোখ সবসময় ওনার দিকেই থাকবে। এটা বলিউডেও হয়ে থাকে, যখন সালমান খান শাহরুখ খান, আমির খানের সঙ্গে কোন হিরোইন আসেন, তখন খানদের ব্যাপারগুলোই থাকে। আমাদের সোসাইটিটাও একটু ওইরকম, একটু পুরুষতান্ত্রিক ব্যাপারগুলোও থাকে।
শাকিব খানের সঙ্গে যখন কাজ শুরু করি তখন আসলে দর্শকদের মধ্যে একটা ব্যাপার ছিলো যে, শাকিব কে চিনি তার সঙ্গে নতুন যে কাজ করছে তিনি কেমন? দর্শকের ওই চোখ আমার ওপর এখনও থাকে। এটা অনেক চ্যালেঞ্জিং মনে হয়। আর নায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রমাণের আরও সুযোগ আছে। শাকিবের বিপরীতে এ প্রজেক্টগুলো তো আসলে অনেকদিন আগে থেকেই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে হয়েছে। এ জন্য এগুলো হয়তো ধীরে ধীরে শেষ হচ্ছে।
তার বাইরে আমিও চাই নতুন চমক নিয়ে নতুন নায়কের সঙ্গে কাজ করতে। তাহলে হয়তো দর্শক আমাকে অন্যভাবে দেখতে পাবে।
শাকিবের সঙ্গে আপনার প্রেমের গুঞ্জন, সমালোচনা, দর্শকের ফ্যান্টাসি এসব প্রসঙ্গে আপনি কি সরাসরি কোন উত্তর দেবেন?
আমার কাছে মনে হয়, এটা দর্শকের ভাবাটা অনেক স্বাভাবিক। একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ করলে দর্শকের কল্পনাজগতে এমনটা তৈরি হয়, এটা যুগযুগ ধরেই আমাদের এখানে বা বলিউডে হয়ে আসছে। আমি চাই এটা দর্শকের মনের মধ্যেই থাকুক। আমি যখন আবার অন্য নায়কের সঙ্গে কাজ করবো তখন আবার তারা অন্যরকম ভাবতে পারেন। দিনশেষে আমরা সবাই পেশাদার শিল্পী। শাকিব হিরো হিসেবে কাজ করছে আমি হিরোইন হিসেবে কাজ করছি।
তাহলে নতুন নায়কের সঙ্গে আপনাকে কবে দেখতে পাবে দর্শক?
আমি আসলে শাকিবের সঙ্গে যে কাজগুলো জমে আছে সেগুলো শেষ করার জন্য অপেক্ষা করছি। আমার দর্শক যেহেতু দেখতে চাইছে, আমিও চাই নতুন নায়কের সঙ্গে স্পেশাল কিছু হোক। তখন দর্শক নিশ্চয়ই শাকিব খান ছাড়া বড়পর্দায় নতুন করে দেখার সুযোগটা পাবেন।