ফেইসবুকে এক পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে স্বামী ফারজানুল হকের সঙ্গে তার আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে তিনি গ্লিটজকে বলেন, “সংসার করতে গেলে বোঝাপড়াটাই আসল। মিডিয়ার মানুষ হিসেবে, একজন মা হিসেবে আমি সবসময় চেয়েছি আমার সংসার টিকুক, সেটা যে কোনো মূল্যে হোক।”
তাসনুভা তিশা বলছেন, যে জটিলতার কারণে এই বিচ্ছেদ, তা তার কাজ নিয়ে নয়। বিষয়টি ব্যক্তিগত, কিছুটা পারিবারিক, যার সমাধান তারা করতে পারেননি।
বিচ্ছেদের পর তাদের একমাত্র সন্তান এখন থাকছে বাবার কাছে। তিশার অভিযোগ, জোর করে তার সন্তানকে তার কাছ থেকে আলাদা করা হয়েছে।
“আমি চাইলে, অভিযোগ করলে ছেলেকে পাব। অভিযোগ করলে ওর চাকরি যাবে, কিন্তু আমার সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে না।”
এই অভিনেত্রী বলেন, “আমি চাইনা ওর ক্যারিয়ার নষ্ট হোক। খারাপ লাগে আমার বাচ্চাকে দেখতে দেওয়া হয় না। ফলে মানসিকভাবে আমি বিপর্যস্ত।”
তবে তিশার এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন ফারজানুল হক। তিনি গ্লিটজকে বলেন, “বাচ্চা আমার কাছে ভালো আছে। সন্তানকে সে যেকোনো সময় চাইলে দেখতে আসতে পারে। সে বাচ্চার ভরণ-পোষণ দিতে পারলে বাচ্চাকে নিজের কাছেও নিয়ে যেতে পারে, আমার কোনো আপত্তি নেই।”
সন্তানকে ঘিরেই দু’জনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয় বলে জানান তিনি।
“আমাদের বিচ্ছেদ হয়েছে বাচ্চার কারণে। সে বাচ্চাকে টাইম দিতে পারছিল না দীর্ঘদিন।...সেটা নিয়ে মনোমানিল্য চলতে থাকে। পরে একসময় বিচ্ছেদ হয়েই গেল। বাচ্চা কোথায় থাকবে বিচ্ছেদের আগে এটা নিয়ে কোনো আলোচনা করেনি। বাচ্চাকে দেখতে দেওয়া হয় না-এমন অভিযোগ একদমই ঠিক না।”
২০১৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবেসে ঘর বেঁধেছিলেন ফারজানুল হক ও তাসনুভা তিশা।