আলোচনা সভা, বাদ্যযন্ত্র পরিবেশনা ও কণ্ঠসঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সঙ্গীত দিবসটি উদযাপন করেছেন সঙ্গীতশিল্পীরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির আয়োজন উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
শিল্পী মোস্তফা জামান আব্বাসীর সভাপতিত্বে আলোচক ছিলেন সঙ্গীত পরিচালক শেখ সাদী খান, শাহাদাৎ হোসেন খান, বংশীবাদক গাজী আব্দুল হাকিম, শিল্পী শাহীন সামাদ, বুলবুল মহলানবীশ ও রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।
আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক পর্বে শিল্পী চন্দন দত্তের পরিচালনায় সমবেত যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশ যন্ত্রশিল্পী ফোরামের শিল্পীরা। একক বেহালার সুরে মোহিত করেন শিল্পী রূপসী মমতাজ। সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পকলা একাডেমি শিশু সঙ্গীত দল, শিশু একাডেমি ও সরকারি সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের শিল্পীরা। সবশেষে ব্যান্ড সঙ্গীত পরিবেশন করে জলের গান ও গান পাগল।
আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক পর্বে শিল্পী চন্দন দত্তের পরিচালনায় সমবেত যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশ যন্ত্রশিল্পী ফোরাম, একক বেহালা পরিবেশন করেন-শিল্পী রূপসী মমতাজ। সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন- বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিশু সংগীত দল, শিশু একাডেমি ও সরকারী সংগীত মহাবিদ্যালয়ের শিল্পীরা। ব্যান্ড সংগীত পরিবেশন করেন-জলের গান ও গান পাগল।
‘বিশ্ব ভরে উঠুক মানবতার জয়গানে’
শাহবাগের জাতীয় গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের প্রাঙ্গণে সঙ্গীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে ‘বিশ্ব ভরে উঠুক মানবতার জয়গানে’ প্রতিপাদ্যে শুরু হয়েছে দুই দিনের সঙ্গীত উৎসব।
বৃহস্পতিবার শোভাযাত্রায় উদ্বোধন হয় এই আয়োজনে. এতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৩০জন কৃতি সঙ্গীত ব্যক্তিত্বের প্রতিকৃতি সম্বলিত ফেস্টুন স্থান পায়।
এ উৎসবের উদ্বোধন করেন নোয়াখালীর আঞ্চলিক গানের প্রবীণ শিল্পী মো. হাসেম।
পরে গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে ছিল আলোচনা সভা।
এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি ছিলেন সঙ্গীতজ্ঞ আজাদ রহমান ও সংস্কৃতি সচিব নাসির উদ্দিন। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সুরকার শেখ সাদী খান, রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ফকির আলমগীর ও গীতিকবি ফেরদৌস হোসেন ভূঁইয়া।
পরিষদের সভাপতি তপন মাহমুদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়।
অনুষ্ঠানে সম্মাননা জানানো হয় নোয়াখালি আঞ্চলিক গানের প্রবীণ শিল্পী মো. হাসেম এবং বরিশাল সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সংগঠক ও শিল্পী মুকুল দাসকে।
আলোচনা পর্বে সুরকার শেখ সাদী খান বলেন, “মেধাসত্ত্ব আইনটি যদি কার্যকর করা হয়, তাহলে বাংলাদেশের সঙ্গীতের অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।”
অনুষ্ঠানের শুরুতেই সম্মেলক কণ্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার শিল্পীরা গেয়ে শোনান ‘আকাশ ভরা সূর্য তারা’ গানটি। এর পর একক কণ্ঠে শাহীন সামাদ গেয়ে শোনান ‘জোছনা করেছে আড়ি’। এর পর ছিল শুধুই দলীয় পরিবেশনা। মরমী শিল্পীগোষ্ঠী, গীত শতদল, বাঁশুরিয়া, স্বপ্নকুঁড়ি, কথা ললিতকলা একাডেমি, সঙ্গীত ভবন, স্বভূমি লেখক শিল্পী কেন্দ্র, বৈতালিকের শিল্পীরা সম্মেলক কণ্ঠে সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
আলিয়াঁস ফ্রঁসেজে ‘ফেঁত-দো-লা-মিউজিক’
আলিয়াঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার আয়োজনে ছিল ‘ফেঁত-দো-লা-মিউজিক’। আলিয়াঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার লা গ্যলারিতে ছিল বাংলা, ইংরেজি এবং ফরাসি ভাষায় একক ও দলীয় সঙ্গীতের আসর। আরও ছিল পিয়ানো, গিটার আর বাঁশীর পরিবেশনা।
শুরুতেই ফরাসি ভাষায় একক কণ্ঠে সঙ্গীত পরিবেশন করেন মধুরিমা সাহা হিয়া। এর পর একক কণ্ঠে আরও সঙ্গীত পরিবেশন করেন সৌরভ বাপ্পা, সালাউদ্দিন মাহবুব, তাহসিন ইবাদা, এনজিন চৌধুরী, লাবনী বাড়ৈ, মিজানউদ্দিন খান, মীনাক্ষি দাস ও রুবিয়া মল্লিকা।