স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: ফলেন কিংডম’

বিশ্বের অন্যান্য দেশের আগে বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’ সিরিজের নতুন ছবি ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: ফলেন কিংডম’ নিয়ে আসছে স্টার সিনেপ্লেক্স।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 June 2018, 11:36 AM
Updated : 12 June 2018, 11:36 AM

আন্তর্জাতিকভাবে ছবিটি মুক্তি পাবে ২২ জুন। আর বাংলাদেশে মুক্তি পাবে ১৫ জুন। ঈদ উপলক্ষে দেশের দর্শকদের এই চমকপ্রদ উপহার দিচ্ছে স্টার সিনেপ্লেক্স।

স্টিভেন স্পিলবার্গ পরিচালিত কল্পবিজ্ঞান নিয়ে চলচ্চিত্র জুরাসিক পার্ক। মাইকেল ক্রিকটনের উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে নির্মিত এই চলচ্চিত্র ১৯৯৩ সালে মুক্তি পায়। বিপুল সাড়া জাগানো ছবিটি এ যাবৎ প্রায় ১০০০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। চলতি বছর ‘জুরাসিক পার্ক’ সিনেমার ২৫ বছর পুর্তি হতে চলেছে।

১৯৯৭ সালে ‘দ্য লস্ট ওয়ার্ল্ড’ নামে জুরাসিক পার্ক-এর দ্বিতীয় পর্ব মুক্তি পায়। ২০০১ সালে মুক্তি পায় ‘জুরাসিক পার্ক ৩’। এরপর বড় একটা বিরতি দিয়ে ১৪ বছর পর ২০১৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল জুরাসিক পার্ক সিরিজের নতুন সংস্করণ ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’। তিন বছর পরেও ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’ ব্যবসার দিক দিয়ে এখনো বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে।

জুরাসিক ওয়ার্ল্ড-এর প্রথম ছবির কাহিনী যেখানে শেষ হয়েছিল, ঠিক সেখান থেকেই শুরু হয়েছে ফলেন কিংডমের কাহিনি। ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্র ওয়েন গ্র্যান্ডি এবং ক্লেয়ার ডিয়ারিং ফিরে যায় জুরাসিক পার্ক হিসেবে পরিচিত আইলা নুবলা দ্বীপে। এর আগের ছবিটিতে পার্কটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেলেও, এখনো সেখানে রয়ে গেছে প্রাগৈতিহাসিক যুগের কিছু প্রাণী।

আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত তাদেরকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারেনি। তাই তাদের বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেখানে পৌঁছান ওয়েন এবং ক্লেয়ার। নানা প্রতিকূলতা আর ঘাত-প্রতিঘাতের সম্মুখীন হয় তারা। শ্বাসরূদ্ধকর সেই অভিযানের কাহিনী নিয়েই নির্মিত হয়েছে ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: ফলেন কিংডম’।

এবারের ছবিটির পরিচালনায় পরিবর্তন এলেও বরাবরের মতোই ছবিটির কার্যনির্বাহী প্রযোজক হিসেবে রয়েছেন স্টিভেন স্পিলবার্গ। এবার পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেছেন জে এ বায়োনা। আগের ছবিটির মতো এবারও এর কেন্দ্রীয় দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন ব্রাইস ডালাস হাওয়ার্ড এবং ক্রিস প্যাট।

 এছাড়াও ছবির অন্যান্য চরিত্রে আরো অভিনয় করেছেন জেফ গোল্ডবাম, বিডি ওং, টবি জোনস টেড লিভাইন সহ আরো অনেকে। আশা করা হচ্ছে, সাফল্যের দিক থেকে আগের ছবিকেও ছাড়িয়ে যাবে এ ছবি। প্রযোজক, নির্মাতা, কলাকুশলীরা দারুণ আশাবাদী ছবিটি নিয়ে। ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন সমালোচকরাও। আর দর্শক তো রীতিমত মুখিয়ে আছেন। এখন শুধু মুক্তির অপেক্ষা।