কণ্ঠসঙ্গীতে মিহির লালা, যন্ত্রসঙ্গীতে মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মিয়া, নাট্যকলায় এস এম মহসীন, লোকসংস্কৃতিতে কাঙ্গালিনী সুফিয়া বেগম, চারুকলায় চন্দ্র শেখর দে, আলোকচিত্রে নাসির আলী মামুন এবং নৃত্যকলায় সার্বিক অবদানের জন্য এ পদক পাচ্ছেন শর্মিলা বন্দোপাধ্যায়।
রোববার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে পদকপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন একাডেমির সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সোমবার দুপুরে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মনোনীত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের হাতে পদক, সনদপত্র ও পদকের অর্থমূল্য এক লাখ টাকা তুলে দেবেন।
পদকের জন্য তালিকাভুক্ত ক্ষেত্র থেকে ৭টি ক্ষেত্রকে বাছাই করে এ পদক দেওয়া হচ্ছে।
নীতিমালা অনুযায়ী ১৬ সদস্যের কমিটি প্রতি বছর পদকের জন্য গুণীজন নির্বাচন করেন। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের নেতৃত্বে এ কমিটিতে রয়েছেন সঙ্গীতজ্ঞ ড. সন্জীদা খাতুন, শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার, সমরজিৎ রায় চৌধুরী, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি মীনু হক, সঙ্গীতজ্ঞ আ ব ম নুরুল আনোয়ার।
এছাড়াও শিল্পকলা একাডেমির সচিব, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি থাকেন কমিটিতে।
সংবাদ সম্মেলনে লিয়াকত আলী লাকী জানিয়েছেন, আগামী বছর থেকে দশজনকে শিল্পকলা পদক দেওয়া হবে।
পদকের জন্য দশটি ক্ষেত্র হল- কণ্ঠসঙ্গীত, যন্ত্রসঙ্গীত, নৃত্যকলা, নাট্যকলা, চারুকলা, আবৃত্তি, আলোকচিত্র, যাত্রাশিল্প, চলচ্চিত্র ও লোকসংস্কৃতি। এ বছর থেকে আরও যুক্ত হচ্ছে সাংস্কৃতিক সংগঠন, সংগঠক ও গবেষক।
প্রতি বছর শিল্পকলা একডেমির মাধ্যমে প্রতিটি জেলায় ৩২০ জন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিকে জেলা শিল্পকলা পদক দেওয়া হচ্ছে।