সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান শনিবার বিকেলে গ্লিটজকে বলেন, “যাচাই-বাছাই করে প্রায় দুই’শ অভিনয় শিল্পীকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি চিঠির উত্তর এসেছে। মাসখানেকের মধ্যে তাদের ব্যাপারে সমিতির তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
সংগঠনটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সদস্য হতে চাইলে শিল্পীদের ন্যূনতম পাঁচটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
তবে জায়েদ খানের অভিযোগ, অনেকে একটা কিংবা দুইটা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেই সদস্য হয়েছেন। অনেকে আবার শিল্পী পরিচয়ে নানা অনিয়মেও জড়াচ্ছেন। নামধারী এই ধরনের শিল্পীদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে শিল্পী সমিতির সম্মানহানি ঘটছে।
আদৌ তারা সমিতির পূর্ণ সদস্য হিসেবে থাকার যোগ্য কিনা তা পুনর্মূল্যায়নের জন্য মাসখানেক আগে তাদের সদস্যপদ যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যাচাই শেষেই অভিযুক্ত শিল্পীদের ঠিকানায় কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হয় বলে জানান এ অভিনেতা।
তিনি জানান, সদুত্তর পেলে অভিযুক্ত শিল্পীরা সদস্য হিসেবে থাকবেন। অন্যথায় তারা ভোটাধিকার হারাবেন। তবে সহযোগী সদস্য হিসেবে সমিতিতে থাকবেন।
বর্তমানে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পূর্ণ সদস্যসংখ্যা ৬২৪। এর মধ্যে ২৬০ জনের বিরুদ্ধেই অনিয়মের অভিযোগ উঠে।