গ্লিটজ: শরীরের অবস্থা কেমন?
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল: আমি ভালো আছি।
গ্লিটজ: প্রধানমন্ত্রী আপনার চিকিৎসার দায়িত্ব নিচ্ছেন বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে। আপনার চিকিৎসা কোথায় হবে?
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল: প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে সন্ধ্যায় বাসায় একজনের আসার কথা রয়েছে। উনি আমার রিপোর্টগুলো দেখবেন। দেখার পরে সিদ্ধান্ত নেবেন, কোন জায়গায় আমার চিকিৎসা হবে। এখানে হবে, না বাইরে, সেটা এখনও সিদ্ধান্তটা নেওয়া হয়নি।
গ্লিটজ: মঙ্গলবার ফেইসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে আপনি নিজেকে ‘ছয় বছরের গৃহবন্দি’ বলে উল্লেখ করেছেন। আপনার বন্দিদশা কেটেছে কি না? সেখানে এখন কেমন অনুভব করছেন?
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল:...আমার এটা অভ্যস্ত হয়ে গেছে। এখন আর কিছু মনে হয় না। আপনি তো ভালোভাবে বোঝেন যে, হার্টের চিকিৎসার পর আবার কিন্তু এই চার দেওয়ালের মধ্যেই আসতে হবে। এটা কিন্তু সমাধান না। তাই না? আপনারা হার্টটা ঠিক করে আবার এই জায়গাটায় পাঠিয়ে দেবেন, হার্টটা আবার নষ্ট হবে। আপনারা মুক্ত করে দেন।
গ্লিটজ: জমানো অভিমান থেকেই কি আপনার অসুস্থতার খবরটি গোপন রেখেছিলেন?
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল: না। আমার অভিমান বলতে কোনো কিছু নেই। আমার রোগের কোনো কিছুই গোপন রাখিনি। আমার হার্টের প্রবলেম ধরা পড়েছে মাত্র পাঁচ-সাত দিন আগে।
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল: অভিমানের জায়গাটা কিন্তু ওইটা না। ভাইয়ের বিচার পাইনি-ওটা হলো অভিমান। এটা অভিমানের বিষয়। আমি সরকারের নির্দেশেই কিন্তু ট্রাইব্যুনালে দাঁড়িয়েছি। এটা অভিমান ছিল। ..এটা তো আমি বলবই।
গ্লিটজ: আপনার ভাইয়ের হত্যার বিচার আপনি তো এখনও পাননি?
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল: সেটা পাইনি বলেই তো অভিমানের কথা বলেছি।
গ্লিটজ: সএবার আসি গানের প্রসঙ্গে। অসুস্থতা কাটিয়ে গানে ফিরছেন কবে?
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল: আমি তো গানের মধ্যেই আছি।
গ্লিটজ: এখন কী গান করছেন?
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল: অনেক কোম্পানির গান করেছি। গান করেই যাচ্ছি একের পর এক। এক এক করে সামনে মুক্তি পাবে।