বৃহস্পতিবার ধানমণ্ডির ছায়ানট মিলনায়তনে এ অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করেন শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার।
তিনি বলেন, “রবীন্দ্রনাথের গানের নান্দনিক বিষয় মানব মনের গভীরে এবং জীবনের সর্বস্তরে এক ধরনের গতির সঞ্চার করে। তার সংগীতের মাধুর্য চোখে দৃশ্যমান না হলেও অনুভূতির প্রতিক্রিয়া শ্রোতার চিত্তকে উদ্বেলিত ও প্রসারিত করে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান, বাণী ও সুরের স্বকীয়তা সংগীত শ্রোতার হৃদয়ের বোধকে জাগ্রত করে।”
মোড়ক উন্মোচন পর্ব শেষে পণ্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার সরোদে বেশকিছু রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন।
শিল্পীর সঙ্গে তবলায় ছিলেন স্বরূপ হোসেন ও কীবোর্ডে রবিনস্। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী।
পণ্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদারের সংগীতে হাতেখড়ি হয় পিতামহ বিভূতি রঞ্জন মজুমদারের কাছে; ম্যান্ডোলিন দিয়ে। পরে বাবা রঞ্জন মজুমদারের কাছ থেকে তিনি সংগীতে তালিম নেন।
এরপর ওস্তাদ বাহাদুর খান, পণ্ডিত অমরেশ চৌধুরী, অনিল পালিত, পণ্ডিত অজয় সিনহা রায়, ওস্তাদ আলী আকবর খান এবং পণ্ডিত রবি শঙ্করের মতো সংগীতজ্ঞের সহচর্যে ধীরে ধীরে পরিণত হয়ে ওঠেন তেজেন্দ্র নারায়ণ।
তিনি চলচিত্রশিল্পেও সংগীতপরিচালক হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন। ২০১০ সালে তার অ্যালবাম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়।