জমজমাট আয়োজনে আর তারুণ্যের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে শেষ হলো বেঙ্গল ক্রিয়েটিভ ফেস্ট ২০১৮।
রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত এই ফেস্টে দেশবরেণ্য সৃজনশীল ব্যক্তিদের মূল্যবান বক্তব্য শুনতে এবং তাদের সাথে আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে শত শত মানুষ ভীড় জমায়।
দুইদিনব্যাপী এ আয়োজনের প্রথমদিন বক্তব্য রাখেন বেঞ্চমার্ক পিআরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফ কায়সার, রুবাবা দৌলা, হোসেন ইলিয়াস, আব্দুন নূর তুষার, নুহাশ হুমায়ূন, মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী, এলিটা করীম প্রমুখ।
দুই দিনব্যাপী এই ফেস্টিভালে সৃজনশীলতা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি ছিল সৃজনশীল গোষ্ঠীর পারস্পারিক যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান তৈরি করার সুযোগ।
ফেস্টে আরও ছিল কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব বুথ, যেখানে কর্ম প্রত্যাশী তরুণ-তরুণীরা তাদের সিভি জমা দিয়েছে।
সেশনগুলোর উপজীব্য বিষয় ছিল কীভাবে বন্ধুত্বের মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রির কঠিন সমস্যা মোকাবেলা করার যায়, জীবনে সৃজনশীলতার প্রভাব, সৃজনশীল কাজের উপর ডিজিটালাইজেশনের প্রভাব এবং কীভাবে সৃজনশীলতাকে পেশায় রূপান্তর করা যায়।
কিছু সেশনে সৃজনশীল পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের জীবনে যেসব বাধার সম্মুখীন হতে হয় তা তুলে ধরা হয়। আলোচনাগুলো সৃজনশীল কাজের ক্ষেত্রে চলে আসা প্রচলিত ধারণা ভেঙে দিয়ে তরুণদেরকে সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে যোগদান করার উৎসাহ প্রদান করে।
বাংলাদেশে অনেক প্রতিভাবান সৃজনশীল তরুণ-তরুণী রয়েছে, যাদের একটি বড় অংশ সুযোগের অভাবে উন্নতি করতে পারছে না।
আমি চাই, কোনো প্রতিভাবান শিল্পী যেন হারিয়ে না গিয়ে তার লক্ষ্যে অটুট থাকতে পারে। বেঙ্গল সি হাব এই সৃজনশীলতা প্রস্ফুটিত করার মাধ্যম হিসেব কাজ করে বাংলাদেশকে বিশ্বের মানচিত্রে একটি সৃজনশীল দেশ হিসেবে পরিচিত হতে সাহায্য করবে।”
বাংলাদেশের সৃজনশীল শিল্পকে যুগান্তকারী ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে রূপান্তরের মূলে রয়েছে বেঙ্গল সি হাব।
শিল্পমনা ব্যক্তিদের উন্নয়নের লক্ষ্যে সৃজনশীল ব্যক্তিদের মূল্যবান অভিজ্ঞতা ও মতামত শেয়ার করা, ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কিত ধারণা বৃদ্ধি করা এবং চাকরি ও যোগাযোগের সুযোগ বাড়ানোর মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে বেঙ্গল সি হাব।