আগামী ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় রাঙ্গামাটির ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে ‘রক্তকাঞ্চন’ নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে দলের সভাপতি ও প্রধান সম্পাদক মনি পাহাড়ি বলেন, “আমরা প্রায় সব আয়োজন করে ফেলেছি। এখন প্রচার আর শেষ মুহূর্তের মহড়া চলছে।
আমরা সবসময় চেষ্টা করেছি গতানুগতিক কনসেপ্ট থেকে বেরিয়ে কমিউনিকেটিভ নতুন এবং ভিন্ন প্লটের ওপর নাটক তৈরি করার।
তার সাথে এবার যুক্ত হলো নতুন কোনো জনপথে নতুন দর্শকদের সামনে নাটক নিয়ে যাওয়া।”
নাটকটি প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, “এটি সরল কাহিনি। সহজ ভাষার। চরিত্রের হেঁয়ালি সংলাপের আড়ালে রুঢ় বাস্তবতা, কাহিনির বাঁকগুলোতে কোনো আরোপ নেই।
সরল ছন্দে গাথা রক্তকাঞ্চন বহু ছন্দ পতনের ইঙ্গিত করে।
ষড়যন্ত্র আর লালসার শিকার হয়ে মহান কোনো নেতাকে সরিয়ে দেয়ার গল্পটি সবার জানা। বহু শতাব্দী, বহু যুগ এমন সব ঘটনা পার করে আজ এখানটায় দাঁড়িয়ে আমরা।
এমনই চেনা-অচেনা গল্পের গাঁথুনিতে ইতিহাস এসে মিশেছে এ নাটকে। ভালোবাসা আর ষড়যন্ত্রের লাল রঙে আঁকা রক্তকাঞ্চন।”
‘রক্তকাঞ্চন’-এর বহুমাত্রিকতা সবাইকে আনন্দ দেবে এমন প্রত্যাশা করছেন দলের প্রধান সম্পাদক মনি পাহাড়ী।
নাটকটির মিউজিক ডিজাইন করেছেন বিপ্লব সরকার, মো. লিটন, হাসান বসরী বিরাজ ও রিপন হোসাইন।
মঞ্চ ও পোশাকে আশিক সুমন ও মনি পাহাড়ী। লাইট ডিজাইন তাহসিন রহমান এবং সার্বিক কারিগরিতে আব্দুল্লাহ আল মামুন।
গতি থিয়েটারের সফল চলমান প্রযোজনাগুলোর মধ্যে পথনাটক ‘মামার আগমন’, ‘বাজীকর’, ‘কদাকার’। এবং মঞ্চ প্রযোজনা ‘শিকারী’ ও ‘জীয়ন’।
গতি থিয়েটার ২০০৯ থেকে তাদের সৃজনশীল পদচারণা শুরু করেছে।