বিশ্ব নাট্যদিবসে স্বপ্নদলের ‘চিত্রাঙ্গদা’

‘বিশ্ব নাট্যদিবস-২০১৮’ উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় বংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে স্বপ্নদলের প্রযোজনা ‘চিত্রাঙ্গদা’-র বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিরায়ত সৃষ্টি ‘চিত্রাঙ্গদা’-র গবেষণাগার নাট্যরীতিতে নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদ রিপন।

রবীন্দ্রনাথ মহাভারতের চিত্রাঙ্গদা-উপাখ্যান অবলম্বনে ১৮৯২-এ কাব্যনাট্যরপে এবং ১৯৩৬-এ নৃত্যনাট্যরূপে ‘চিত্রাঙ্গদা’ রচনা করেন। স্বপ্নদলের ‘চিত্রাঙ্গদা’ প্রযোজনাটি নির্মিত হয়েছে রবীন্দ্রনাথের কাব্যনাট্য পাণ্ডুলিপিটি অবলম্বনে।

এর নাট্যকাহিনিতে উপস্থাপিত হয় মহাবীর অর্জুন সত্যপালনের জন্য একযুগ ব্রহ্মচর্যব্রত গ্রহণ করে মণিপুর বনে এসেছেন।

মণিপুর-রাজকন্যা চিত্রাঙ্গদা, অর্জুনের প্রেমে উদ্বেলিত হলেও অর্জুন রূপহীন চিত্রাঙ্গদাকে প্রত্যাখ্যান করেন।

অপমানিত চিত্রাঙ্গদা প্রেমের দেবতা মদন এবং যৌবনের দেবতা বসন্তের সহায়তায় এক বছরের জন্য অপরূপ সুন্দরীতে রূপান্তরিত হন।

এবারে অর্জুন যথারীতি চিত্রাঙ্গদার প্রেমে পড়েন। কিন্তু অর্জুনকে লাভ করেও চিত্রাঙ্গদার অন্তর দ্বন্দ্বে ক্ষত-বিক্ষত হতে থাকে অর্জুন প্রকৃতপক্ষে কাকে ভালোবাসেন, চিত্রাঙ্গদার বাহ্যিক রূপ নাকি তার প্রকৃত অস্তিত্বকে?

এভাবে ‘চিত্রাঙ্গদা’ পৌরাণিক কাহিনির আড়ালে যেন এ কালেরই নর-নারীর মনোদৈহিক সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং পাশাপাশি পারস্পরিক সম্মানাবস্থানের প্রেরণারূপে উপস্থাপিত হয়।

‘চিত্রাঙ্গদা’ প্রযোজনার গ্রন্থিকরা হলেন সোনালী, জুয়েনা, শিশির, শ্যামল, রানা, জেবু, সুমাইয়া, সামাদ, ঊষা, অর্ক, সম্রাট, আলী, বিপুল, অনিন্দ্য, নিসর্গ, মাসুদ, সুকুমার, বিমল প্রমুখ।

স্বপ্নদলের ‘চিত্রাঙ্গদা’ প্রযোজনাটি ২০১১তে সার্ধশত রবীন্দ্রবর্ষ উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুদানে নির্মিত হয়।

বাংলাদেশ ও ভারতে এ পর্যন্ত প্রযোজনাটির ৬২টি সফল প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।