এই গ্রন্থে নওয়াজীশ আলী খানকে নিয়ে লিখেছেন দেশের ১১১ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন নিয়াজ মাহমুদ খান, প্রচ্ছদ এঁকেছেন সুনীল কুমার মালো এবং প্রকাশ করেছে ভাষা আন্দোলন গবেষণা কেন্দ্র ও জাদুঘর ও বিজয় বার্তা।
অনুষ্ঠানে সমাজকল্যানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মুস্তাফা মনোয়ার, কামাল লোহানী, বিচারপতি এবাদুল হক, অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ড. মাহফুজুর রহমান, অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, আবুল হায়াত, কে এস ফিরোজ, ম হামিদ, ডলি জহুর, ফকির আলমগীর, ফরিদা পারভীন, ইয়াসমীন মুশতারী, মেহের আফরোজ শাওন, সংগীত পরিচালক ওমার ফারুকসহ লেখক, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা ও পরিচালনা করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
নওয়াজীশ আলী খানের জন্ম ১৯৪২ সালের ২ অক্টোবর। তার কর্ম জীবন শুরু হয় ১৯৬৭ সালের ২৯ নভেম্বর করাচী টেলিভিশনে। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলেও সে সময়ে দেশে ফেরার সুযোগ পাননি তিনি। পরবর্তীতে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশ টেলিভিশনে যোগদান করেন প্রযোজক পদে। কাজ শুরু করেন গানের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। ফজলে লোহানীর উপস্থাপনায় বিটিভির জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ‘যদি কিছু মনে না করেন’ অনুষ্ঠানেরও প্রযোজক ছিলেন তিনি। এ অনুষ্ঠানটি তিনি প্রযোজনা করেছেন তিন-চার বছর। এছাড়া বিটিভির জনপ্রিয় ঈদ ম্যাগাজিন ‘আনন্দমেলা’র অনেক পর্বের প্রযোজক ছিলেন তিনি। আরও প্রযোজনা করেছেন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের ‘সপ্তপর্না’।
অনুষ্ঠানের পাশাপাশি তিনি নাটকে কাজ শুরু করেন আশির দশক থেকে। তার নাট্যরূপ দেয়া নাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সৈয়দ মুজতবা আলীর বিখ্যাত পন্ডিতমশাইয়ের তিন পায়ের কুকুরের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করে লেখা ‘পাদটীকা’ ও ‘টুনি মেম’, শরৎচন্দ্রের ‘অভাগীর স্বর্গ’, অধ্যাপক সৈয়দ অকরম হোসেনের ‘ঘুণপোকা’ ইত্যাদি।