ছোটপর্দায় সেরা কাজের স্বীকৃতি পেলেন নাটকের মানুষেরা

পুরস্কার প্রদানের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ‘চারুনীড়ম টেলিভিশন কাহিনিচিত্র উৎসব’।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 March 2018, 12:14 PM
Updated : 12 March 2018, 12:34 PM

২০০৯ সাল থেকে ‘চারুনীড়ম টেলিভিশন কাহিনিচিত্র উৎসব’-এর আয়োজন করে আসছে চারুনীড়ম ইনস্টিটিউট।

বরাবরের মতো এবারও বসেছিল ‘চারুনীড়ম টেলিভিশন কাহিনিচিত্র পুরস্কার ২০১৮’-এর আসর। রবিবার সন্ধ্যায় নগরীর পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

এবার বিভিন্ন বিভাগে যারা পুরস্কার পেয়েছেন, শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার আবু শাহেদ ইমন, শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার মেজবাহ উদ্দিন সুমন, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক নাজমুল হাসান, শ্রেষ্ঠ চিত্র সম্পাদক বাশার জর্জিস, শ্রেষ্ঠ রূপসজ্জাকারী খলিল, শ্রেষ্ঠ আবহসংগীতকার রশিদ শরিফ শোয়েব, চিত্রকুসুম পুরস্কার (অভিনয়) শার্লিন ফারজানা, চিত্রকুসুম পুরস্কার (পরিচালনা) নুহাশ হুমায়ূন, শ্রেষ্ঠ কাহিনিচিত্র ইমপ্রেস টেলিফিল্ম, শ্রেষ্ঠ পরিচালক গৌতম কৈরি, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী দীপান্বিতা মার্টিন।

আবু শাহেদ ইমন পরিচালিত ‘গোল্ডেন এ প্লাস’ নাটকটি ছিলো ২০১৭ সালের অন্যতম আলোচিত নাটক। নাটকে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন দীপান্বিতা মার্টিন।

পুরস্কার প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “চরিত্রের প্রতি, কাজের প্রতি আরও অনুরাগী হবো। এই অ্যাওয়ার্ড আমাকে নতুন করে জেগে উঠতে সাহায্য করবে।”

অনুষ্ঠানে আবু হায়াত মাহমুদ নির্মিত ‘মিছিলের মুখ’ নাটকটি তিনটি বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে। এছাড়াও গোলাম সোহরাব দোদুলের ‘ডুয়েল প্লে’ নাটকটিও তিনটি পুরস্কার লাভ করেছে।

পুরস্কার প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় গোলাম সোহরাব দোদুল বলেন, “ধন্যবাদ চারুনীড়ম। আমাদের কাহিনিচিত্র ‘ডুয়েল প্লে’তে আমাকে শ্রেষ্ঠ পরিচালক, বিপাশা হায়াতকে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী এবং তানভীর আলম সজীবকে শ্রেষ্ঠ আবহ সংগীত পরিচালক হিসেবে পুরস্কার দেওয়ার জন্য। আমি আমার পুরো টীমের প্রতি কৃতজ্ঞ। এ পুরস্কার সবার জন্য।”

গতকাল ‘চারুনীড়ম টেলিভিশন কাহিনিচিত্র উৎসব ২০১৮’-এর পুরস্কার প্রদানের পাশাপাশি ‘চারুনীড়ম টেলিভিশন কাহিনিচিত্র উৎসব ২০১৭’-এর পুরস্কারও প্রদান করা হয়।

গতকালের অনুষ্ঠানে দুই বছরের পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতেই সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তরা ছাড়াও শোবিজ অঙ্গনের অনেক তারকাই উপস্থিত ছিলেন। 

২০০৮ সালে প্রায় সব চ্যানেলেই এক ঘণ্টার নাটক বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাই পরের বছর মার্চে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে টিভি নাটকের শিল্পী ও কলাকুশলীদের নিয়ে ‘এক ঘণ্টার নাটক বাঁচাও’ আন্দোলন শুরু হয়।

এক ঘণ্টার নাটক নির্মাণে উৎসাহ ও তা প্রচারের ব্যাপারে টিভি চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে উদ্বুদ্ধ করা এবং বিজ্ঞাপন বিরতি ছাড়া নাটক দেখার সুযোগ দেওয়ার জন্যই এই উৎসবের আয়োজন করা হয় বলে জানান চারুনীড়ম ইনস্টিটিউটের পরিচালক গাজী রাকায়েত।