শীর্ষ আদালতে প্রিয়া

প্রিয়া প্রকাশের ‘ভাইরাল’ ভিডিওর গানটি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে এই কারণে থানায় অভিযোগ জানিয়েছিল বেশ কয়েকটি সংগঠন । ১৯ ফেব্রুয়ারি ভারতের শীর্ষ আদালতে গেলেন প্রিয়া এবং নির্মাতা ওমর লুলু ।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Feb 2018, 03:05 PM
Updated : 20 Feb 2018, 03:05 PM

প্রথম আবেদনকারী প্রিয়া প্রকাশ ওয়ারিয়র এবং দ্বিতীয় আবেদনকারী ‘উরু আদার লাভ’ চলচ্চিত্রের পরিচালক ওমর লুলু ভারতের শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খারিজ করার জন্য ।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সূত্রে জানা গেছে, অভিনেত্রী প্রিয়া এবং পরিচালক ওমর লুলুর পক্ষে আইনজীবি হরিশ বীরান ও পল্লবী প্রতাপ আদালতে জানিয়েছে বিতর্কিত এই গানটি আসলে কেরালার মালাবার অঞ্চলের চল্লিশ বছরের পুরোনো একটি লোকসংগীত ‘মাপিলা’ । সাধারণত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ এই গানটি গায় ।

‘নবী এবং তার স্ত্রী বীভি খাদিজার প্রশংসা করে ১৯৭৮ সালে পিএম জব্বার গানটি লিখেছিলেন এবং থালাসারি রফিক প্রথম এই গানটি গেয়েছিলেন ।

অভিযোগকারীরা যে দাবী জানিয়েছে, গানটি মুসলিম সমাজের ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত করেছে, তা আসলেই ভিত্তিহীন ।’

এর আগে গানের কথা নিয়ে আপত্তি তুলে ঔরঙ্গাবাদের ‘জন জাগরণ সমিতি’ সংগঠনের সভাপতি মহসিন আহমেদ অভিযোগ করেছিলেন, ‘গানের কথায় ‘প্রফেট’ হজরত মহম্মদ ও তার স্ত্রী খাদিজার পবিত্র প্রেমকে অপমান করা হয়েছে।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে গানটি তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়ে ‘উরু আদার লাভ’-এর প্রযোজক, পরিচালক ও গীতিকারের বিরুদ্ধে জিনসি থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন তারা।

মুম্বাইয়ের রাজা অ্যাকাডেমি নামের আর একটি সংগঠন ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে চিঠি লিখে গানটি নিষিদ্ধ করারও দাবি জানিয়েছে।

এর আগে এই সমস্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ‘উরু আদার লাভ’-এর পরিচালক ওমর লুলু বলেছিলেন, “ভালোবাসা কোনো সীমানা মানে না, এই বার্তা দিতেই গানটি শেয়ার করেছিলাম । প্রিয়া প্রকাশের অভিব্যক্তি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে অহেতুক মাতামাতি হয়েছে ।”

গানটির সংগীত পরিচালক শান রহমান জানান, গানটির কোনো দৃশ্যই তারা বাদ দেবেন না ।