‘ওপারে নিশ্চয়ই ভালো আছেন’

শক্তিমান অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদির ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার। ২০১২ সালে ১৩ ফেব্রুয়ারি ফুসফুসের জটিলতায় না ফেরার দেশে পাড়ি দেন তিনি। গুণী এ শিল্পীর প্রয়াণের দিনে তাকে ঘিরে স্মৃতিচারণা করছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Feb 2018, 03:51 PM
Updated : 14 Feb 2018, 03:11 AM

নিজের ফেইসবুক পেইজে এক স্ট্যাটাসে জয়া লিখেছেন, “ জ্ঞানের ভান্ডার নিয়ে যিনি বিরাজ করতেন আমাদের চারপাশে, তার জ্ঞান ছয় বছর ধরে আমরা স্পর্শ করছি না? প্রকৃতির নিয়মে মানুষ চলে যায়। চলে যাবেই। কিন্তু অমরত্ব পান ক’জন?

আমার মনে হয়, হুমায়ূন ফরীদি সেই গুটিকয়েক ক্ষণজন্মাদের একজন। তার দেহাবসান হলেও জীবনাবসান হয়নি। তার জিয়নকাঠি ততদিন জ্বলবে, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, যতদিন বাংলাদেশে মঞ্চ থাকবে, নাটক থাকবে, চলচ্চিত্র থাকবে।”

তিনি মনে করেন হুমায়ুন ফরীদির সঙ্গে যারা কাজে সুযোগ পেয়েছেন তারা সৌভাগ্যবান। তার সঙ্গে কাজের সুবাদে নিজেকেও সৌভাগ্যবান ভাবছেন জয়া।

লিখেন, “এমন মহীরুহ যখন পাশে থাকতেন, নিজেকে তুচ্ছ মনে হতো। প্রতি মুহূর্তে ভাবতাম, আহা কত কিছুই জানি না। পারিনা। মানিনা। বড় শিল্পী হতে হলে যে বড় মানুষ হতে হয়, হুমায়ূন ফরীদি সম্পর্কে যত জেনেছি, তত বেশি অনুধাবন করেছি।”

স্ট্যাটাসে হুমায়ুন ফরীদিকে নিয়ে শোনা একটি গল্পও শেয়ার করেন তিনি। তার ভাষ্যে, “শীতকালে ফরীদি ভাই অনেক রাতে নিজের গাড়ি করে ফিরছিলেন। হঠাৎ বিজয় সরণি মোড়ে তিনি গাড়ি থামালেন। দেখলেন একজন অশীতিপর বৃদ্ধ ঠান্ডায় কাঁপছে। পরনে তার লুঙ্গি ছাড়া কিছুই নেই। ফরীদি ভাই সে সময় নিজের কোট আর শার্ট খুলে ঐ বৃদ্ধকে পরিয়ে দিয়ে আসলেন। ফরীদি ভাই বাড়ি ফিরলেন খালি গায়ে।”

পোস্টের শেষ দিকে লিখেন, “ফরীদি ভাই, আপনি কখনো নায়ক হতে চাননি। হতে চেয়েছিলেন অভিনেতা। কিন্তু দেখুন, আজ এতদিন পরও আপনি আমাদের কাছে, সাধারণ মানুষের কাছে নায়ক হয়েই আছেন। এমন নায়ক ক’জন হতে পারে? অনেক অনেক ভালোবাসা, দোয়া আপনার জন্য। ওপারে নিশ্চয়ই ভালো আছেন। আমি অন্তত আপনার সেই ‌‌‍ট্রেডমার্ক হাসির শব্দ শুনছি! এভাবেই ভালো থাকবেন, সবসময়।”