চোখে রোদ চশমা, পরনে সালোয়ার-কামিজ, টানা ভ্রু যুগল আর খোলা চুলের ছবির ‘ষোড়শী’ দিলারা জামানকে নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে।
অনেকে ছবিটি ফেইসবুকে পোস্ট করে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন এ অভিনেত্রীকে। শুধু ফেইসবুকেই নয়, ব্যক্তিগতভাবে পরিচিতজনরা মোবাইলে কল করেও অনেকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তাকে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্লিটজকে তিনি বলেন, “অনেকে বলছে, ‘আমাকে নাকি ষোল বছরের তরুণীর মতো লাগছে’, কেউ কেউ বলছে, ‘তোমাকে চেনাই যাচ্ছে না।”
ছবিটি দেখে স্মৃতি হাতড়ে নিজের কৈশোরে ফিরে যান তিনি। খুঁজে ফিরছেন স্কুলপড়ুয়া সেই দিলারাকে।
বলেন, “১৯৫৮ সালে মেট্রিক পরীক্ষার সময় সবশেষ সালোয়ার-কামিজ পরেছিলাম। তারপর আর সালোয়ার-কামিজ পরিনি। বহু বছর পর ৭৫ বছর বয়সে এই ধরনের পোশাকে নিজেকে দেখে অন্যরকম মজা লাগছে।”
মূলত ফ্যাশন হাউস ‘বিশ্বরঙ’-এর ‘শ্রদ্ধা’ নামে এক ব্যান্ডের মডেল হিসেবে ছবিটি তুলেছেন তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন আরেক গুণী অভিনয়শিল্পী শর্মিলী আহমেদ।
ছবির কনসেপ্ট, ড্রেস ডিজাইন, কম্পোজিশন করেছেন ফ্যাশন হাউসটির কর্ণধার ও ডিজাইনার বিপ্লব সাহা। সম্পাদনা করা হয়েছে বিশ্বরঙ স্টুডিওতে।
তিনি শোনালেন ছবির পেছনের গল্প, “বসন্ত মানেই আমরা মূলত তারুণ্যকে বুঝি। কিন্তু আমি উপলগ্ধি করেছি, বসন্ত কেন প্রবীণদেরও না? ঋতুটা সবার জন্য। পোশাক মানুষের মনে দারুণভাবে প্রভাব ফেলে। সেই বিষয়টি জানাতেই এ ফটোশ্যুটের আয়োজন করেছি ।”
১ জানুয়ারি ফটোশ্যুটে অংশ নেন দিলারা জামান। শুরুতে সালোয়ার-কামিজ পরতে খানিকটা সংকোচ বোধ করলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই তা কাটিয়ে উঠেন বলে জানান বিপ্লব সাহা।
এ ডিজাইনার বলেন, “আমি নিজেই উনার চুল বাঁধলাম। লিপস্টিপ দিলাম। সেটে বিজরী বরকতউল্লাহ, মৌসহ আরো অনেকেই ছিলেন-কেউই দিলারা মাকে চিনতে পারেননি। অনেকে ভেবেছিলেন উনি সম্ভবত শর্মিলী আহমেদের মেয়ে!”
ছবিটি তুলেছেন আহনাফ শাহরিয়ার জিতু। একদিনের ব্যবধানেই এটি ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় তরুণ এ ফটোগ্রাফারও দারুণ অভিভূত।