গ্লিটজ: কলকাতায় চারদিন ছিলেন। কেমন কাটল?
আরিফিন শুভ: কলকাতায় সময়গুলো বরাবরই ভালো কাটে। সিটি অব জয়ে’স। এবার খুব ব্যস্ত ছিলাম। রঞ্জন ঘোষের ‘আহারে’ সিনেমার প্রস্তুতি, প্রমো শ্যুট আর সাইনকরেছি। সব নিয়ে একদম দৌড়াদৌড়ির উপর উপর ছিলাম। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই কলকাতায় শ্যুটিং শুরু হবে। মোটামুটি ২৮ ফেব্রুয়ারি অবধি শ্যুটিং চলবে।
গ্লিটজ: ‘আহারে’র চরিত্রায়ণে আপনার প্রস্তুতি কেমন?
আরিফিন শুভ: এখনও পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক। শ্যুটিংটা শুরু হলে বাকিটা বুঝতে পারব। এবারই প্রথম কোনও লোকাল সিনেমায় কাজ করছি। নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়েচেষ্টাটা করব। আমি ভালো করে কাজটা করব। যাতে দর্শকদের ভালো লাগে।
গ্লিটজ: ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পাচ্ছে ‘ভালো থেকো’। ছবিটি নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কেমন?
গ্লিটজ: ছবিটির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মূল কারণ কী ছিল?
আরিফিন শুভ: তিনটি কারণে ছবিটি করছি আমি। প্রথমত রাজু স্যার (জাকির হোসেন রাজু), দ্বিতীয়ত গল্প আর তৃতীয়ত প্রোডাকশন হাউজ। এই তিনটি জিনিস মিলিয়েছবিটির আমাকে আগ্রহী করেছে।
গ্লিটজ: আপনার জন্মদিনে (২ ফেব্রুয়ারি) ছবিটি মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হলেও পরে তারিখ পরিবর্তন করে ৯ ফেব্রুয়ারি করা হলো। কারণ কী?
আরিফিন শুভ: যেহেতু আমি দেশে ছিলাম না। যথার্থ উত্তর আমার চেয়ে অভি (প্রযোজক জাহিদ হাসান অভি) ভালো বলতে পারবেন। আমি মাত্র ফিরলাম। উনাদের সঙ্গেএখনও কোনও কথা হয়নি।
গ্লিটজ: ‘ভালো থেকো’-তে ‘আইডেন্টিটি ক্রাইসিস’-এ ভোগা এক তরুণের চরিত্রে অভিনয় করছেন আপনি। নিজের চরিত্রকে কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
আরিফিন শুভ: অসংখ্য সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি আছে সেগুলো আসলে ভুল। দৃষ্টিভঙ্গিগুলো বদলানো উচিত। সেগুলো সমাজের সার্বিক উন্নতির জন্য। সেই জায়গা থেকেই চরিত্রটিউঠে এসেছে। সেই ভাবনা থেকেই মূলত সিনেমাটি করা। ‘ভালো থেকো’ সামাজিক প্রেক্ষাপটে নির্মিত ছবি। যেখানে প্রেম আছে, হাসি-কান্না আছে। পরিবারের বোঝাপড়াটাআছে।
আরিফিন শুভ: এটা আমাদের তিন নম্বর ছবি। নিশ্চয়ই বোঝাপড়াটা ভালো না হলে পরপর তিনটি ছবিতে কাজ করা হতো না। রাজু স্যার তো ছবিই বানান খুব অল্প।উনার সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি ভীষণ খুশি। ছবি বাদেও স্যারের সঙ্গে কাজ করতে পারাটাও বাড়তি পাওনা।
গ্লিটজ: রাজু-শুভর যুগলবন্দিতে জলি, ফারিয়ার পর এবার নায়িকা হিসেবে পেলেন উঠতি নায়িকা তানহা তাসনিয়াকে। তাকে মূল্যায়ণ করবেন কীভাবে?
আরিফিন শুভ: তানহা নতুন। ওর সঙ্গে কাজটা এনজয় করেছি। কারণ নতুনরা অনেক অনেস্ট এফোর্ট দেয়। সেই জায়গা থেকে খুব চেষ্টা করেছে সে। সেটা স্ক্রিনেও বোধহয়ফুটে উঠেছে। আমাদের মধ্যেও যথেষ্ট ভালো বোঝাপড়া ছিল। ও যাতে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজটা করতে পারে সেজন্য আমিও যথেষ্ট সাপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
গ্লিটজ: নেপালে নির্মাতা রাজুর সাহেবের অনুপস্থিতিতে প্রযোজকের নির্দেশনায় শ্যুটিং করায় আপনাদের তলব করা হয়েছিল। ঘটনাটা আসলে কী?
আরিফিন শুভ: প্রযোজক ও ডিরেক্টরদের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এখানে আমার কোনও হাত নেই। পরে সমঝোতা হয়েছে। রাজু স্যারও বিষয়টি বুঝতেপেরেছেন।
গ্লিটজ: প্রযোজক-পরিচালকের ভুল বোঝাবুঝি অভিনয়ে কোনও প্রভাব ফেলেছিল ?
গ্লিটজ: ‘ঢাকা অ্যাটাক’-এর মতো ব্যবসা সফল চলচ্চিত্রের পরপর ‘ভালো থেকো’। সিনেমাটা নিয়ে বাড়তি চাপ অনুভব করছেন ?
আরিফিন শুভ: একদমই না। কারণ আমি বুঝে গেছি ছবির বিষয়টা আসলে দর্শকদের হাতে। ‘ঢাকা অ্যাটাক’, ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ মুক্তির সময়েও কোনও উচ্চাকাঙ্ক্ষা রাখিনি।
খুব মনোযোগী হয়ে কাজ করা মানেই ছবিটা দর্শকরা ভালোভাবে গ্রহণ করবে-এটার কোনও ভিত্তি নেই। ‘ঢাকা অ্যাটাক’ মৌলিক গল্পের ছবি, ‘ভালো থেকো’-ও একটিমৌলিক গল্পের ছবি।
ছবি হিটের জন্য যদি আমার মানসিক চাপ থাকত তাহলে হয়তো যেকোনও ব্র্যান্ডের সঙ্গে থাকতে চাইতাম। ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনি’ বিগ হিট সিনেমাগুলোর মধ্যে একটি।
‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনি টু’-তে আমার অভিনয়ের কথা ছিল কিন্তু করিনি। ‘অগ্নি’ও বিগ হিট। কিন্তু পরে ‘অগ্নি’র পরের ছবিতে সুযোগ পেয়েও করিনি।
গল্প আর প্ল্যানিংটা দেখে আমি কাজ করি। একটা ছবি সফল হলো আর সেটা নিয়েই মাথা ঘামাতে হবে এমনটা ভাবি না। কাজটা করে আনন্দ পাই সেকারণেই করি।
গ্লিটজ: ‘জাগো’, ‘ছুঁয়ে দিলে মন’, ‘ঢাকা অ্যাটাক’ থেকে ‘ভালো থেকো’। বেশ বাঁকবদল ঘটেছে আপনার ক্যারিয়ারে। সামনের পরিকল্পনা কী?
আরিফিন শুভ: আমার কোনও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নেই। বর্তমানে সততা, নিষ্ঠা, বুদ্ধিমত্তা ও পরিশ্রমটা ঠিকঠাকভাবে করি তাহলে বিশ্বাস করি ভবিষ্যতটা ভালোই হবে।
কাজ করে দিন শেষে নিজের আনন্দটা যদি খুঁজে পাওয়া না যায় তাহলে সেই কাজে খুব একটা বেশি ভালো কিছু করা যায় না। যে কাজটা করলে আমি আনন্দিত হব কিংবাঅনেক কিছু শিখব ওই কাজটাই করি। অন্যথায় কাজটি নিই না।