নতুন ছবির প্রিমিয়ার থেকে শ্রুতিনাটকের অনুষ্ঠান তারপর আবার শ্যুটিং। ব্যস্ততায় যেকোনো তরুণকে এই বয়সেও হার মানাবেন ‘তরুণ’ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ।
১৯৫৯ সালে সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে ‘অপুর সংসার’-এ প্রবেশ । তারপর থেকে এখনও অসংখ্য বাংলা চলচ্চিত্রে অক্লান্তভাবে অভিনয় করে চলেছেন ।
সম্প্রতি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার অভিনীত ‘ময়ূরাক্ষী’ মুক্তি পেয়েছে । ‘কোহিনুর’,‘এক এপ্রিল’সহ আরো অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন ।
কবিতা, থিয়েটার, চলচ্চিত্রচর্চা কোনো কিছুতেই উৎসাহ তো কমেইনি, বরং বয়স বাড়ার সাথে সাথে উজ্জ্বল হচ্ছে তার উপস্থিতি ।
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে আটবার পেয়েছেন বিএফজেএ (বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন)পুরস্কার ।
শ্রেষ্ঠ অভিনয়(‘রূপকথা নয়’,২০১৩)ছাড়াও সারাজীবনের কর্মকৃতিত্বের জন্য (১৯৯৪) ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ।
ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চসম্মান দাদা সাহেব ফালকে ছাড়াও ভারত সরকার তাকে ‘পদ্মভূষণ’ সম্মানে ভূষিত করেছে ।
ফ্রান্সের সরকার এই অভিনেতাকে ‘লিজিয়ন অব দ্য অনার’ সম্মানে সম্মানিত করেছেন ।
১৯ জানুয়ারি তিরাশি পেরিয়ে চুরাশিতে পড়লেন রুপালিপর্দার এই সোনালি নায়ক ।
ইউএনআই জানাচ্ছে, তার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র সংগ্রহালয়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে চলচ্চিত্রজগতের বিশিষ্টজনেরা ।
প্রসেনজিৎ বলেছেন, “উনি আমাদের অনুপ্রেরণা। একজন বিশিষ্ট শিল্পীই শুধু নন, বিশ্বমানের এক কিংবদন্তি অভিনেতা, সৌমিত্রকাকু ।”
চলচ্চিত্র নির্মাতা কৌশিক গাঙ্গুলী, অভিনেতা দেব, ইন্দ্রানী হালদার, সুদীপ্তা চক্রবর্তী,অরুণিমা ঘোষ প্রমুখ তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তার সঙ্গে নিজেদের কাজের অভিজ্ঞতা এক গৌরবের বিষয় বলে মনে করছেন ।