তালাকনামা পাঠানোর প্রায় ৫৩ দিনের মাথায় এদিন ডিএনসিসি অঞ্চল-৩ মহাখালী কার্যালয়ে প্রথমবারের মতো সালিশ ডাকা হয়।
নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা পর ১২টার দিকে মামা স্বপন বিশ্বাসের সঙ্গে উপস্থিত হন অপু। সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল ৩-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হেমায়েত হোসেন বক্তব্য নেন তার।
অপু বিশ্বাস জানান, তিনি বিচ্ছেদ চান না। শাকিবকে কেউ ভুল বুঝিয়েছেন। সামনাসামনি কথা বললে সব ঠিক হয়ে যাবে।
সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে শাকিবকে সংসারে ফেরার আহ্বান জানান তিনি।
তবে শাকিব খান সমঝোতায় আগ্রহী নন বলে গ্লিটজকে জানান তার আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ।
এ আইনজীবী আরও বলেন, “আমি নিজেও উনাকে অনুরোধ করেছি, একটি বাচ্চা আছে। বিষয়টি আরও একবার ভেবে দেখা যায় কিনা। কিন্তু উনি আগের সিদ্ধান্তে এখনও অটল আছেন।”
শাকিব সালিশে উপস্থিত না থাকায় নিয়মানুযায়ী ১২ ফেব্রুয়ারি আরও একটি সালিশ ডাকা হয়েছে বলে জানান ডিএনসিসির নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হেমায়েত হোসেন।
তিনি গ্লিটজকে বলেন, “মোট তিনবার সালিশে ডাকা হবে তাদের। এরপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় সালিশে শাকিব খান উপস্থিত না থাকলে কিংবা সমঝোতা না চাইলে চূড়ান্ত ভাবে তাদের বিচ্ছেদ ঘটবে।”
দ্বিতীয় বৈঠকেও শাকিবের থাকা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। আদৌ কী বৈঠকে থাকবেন তিনি? এ প্রশ্নের সঠিক জবাব নেই তার আইনজীবীর কাছেও।
শাকিবের আইনজীবী গ্লিটজকে বলেন, “সমস্ত নিয়ম মেনেই তালাকনামা অপুর ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে। এখানে নিয়মের কোনও ঘাটতি ঘটেনি।”
তালাকনামায় শাকিব খানের স্বাক্ষর নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এ অভিনেত্রী। তার দাবি, স্বাক্ষরটি কোনভাবেই শাকিবের নয়।
শাকিবের আইনজীবী উল্টে দাবি করেন, “স্বাক্ষরটি শাকিবেরই। আমার সামনে বসে স্বাক্ষর করেছেন শাকিব। ফলে তার অভিযোগ মিথ্যা।”
শাকিব-অপুর যৌথজীবন শুরু হয় ২০০৮ সালে। শাকিব খানের গুলশানের বাসায় বিয়ে করেন তৎকালীন বাংলা চলচ্চিত্রের সেরা এ জুটি। তবে বিয়ের ঘটনাটি আড়ালেই রেখেছিলেন তারা।
তার মাস দুয়েকের ব্যবধানে দু’জনের দূরত্ব বাড়তে থাকে। পুত্র জয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে শাকিব খানের ছবি না থাকা ও অনুষ্ঠানে শাকিবের অনুপস্থিতির কারণে দু’জনের বিচ্ছেদের গুঞ্জন রটে।
গত বছরের ২২ নভেম্বর অপুর ঠিকানায় শাকিবের তালাকনামা পাঠানোর মধ্যে দিয়েই সব গুঞ্জনের পরিসমাপ্তি ঘটে।