নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের অনবদ্য সৃষ্টি ‘যৈবতী কন্যার মন’। মঞ্চনাটক থেকে ধারাবাহিক নাটক হয়ে বড়পর্দায়ও এর সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা নারগিস আক্তার।
মঞ্চনাটক অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ সরকার থেকে অনুদান পান এ নির্মাতা। কিন্তু অনুদান প্রাপ্তির পাঁচবছর পেরিয়ে গেলেও আলোর মুখ দেখেনি চলচ্চিত্রটি।
উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, চলচ্চিত্রটির জন্য ২৪ লাখ ৮৬ হাজার ৪১ টাকা অনুদান গ্রহণ করেন নির্মাতা। কিন্তু যথাসময়ে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ না করতে পারায় তার বিরুদ্ধে পিডিআর অ্যাক্ট অনুযায়ী সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নির্মাতা বলেন, “তথ্যমন্ত্রণালয়ে আমার নিয়মিত যাতায়াত আছে। সিনেমা তৈরি হলেই মামলা উঠে যাবে।”
একঝাঁক নতুন মুখ নিয়ে ২০১৩ সালের ২১ অগাস্ট এফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাবে আনুষ্ঠানিকভাবে ছবিটির মহরত অনুষ্ঠিত হয়।
নির্মাতা জানালেন, অবশেষে নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে চলচ্চিত্রটির। ডাবিং শেষে সম্পাদনার টেবিলে বসবেন শিগগিরিই।
তবে, কবে, কোথায় সর্বশেষ শুটিং হয়েছিল এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান নির্মাতা। বলেন, “তিনমাস আগে শুটিং শেষ হয়। এগুলো পুরনো ইস্যু এখন এসব ঘাটাঘাটি করে লাভ কী?”
আসছে এপ্রিলেই আলোর মুখ দেখতে পারে ‘যৈবতী কন্যার মন’, এমনই আশা বুনছেন নির্মাতা নারগিস আক্তার।