‘চলচ্চিত্র ও মিডিয়া জগতেও নারী-পুরুষ একসঙ্গে কাজ করতে হবে’

ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের অংশ হিসেবে শুরু হয়েছে ‘চতুর্থ আন্তর্জাতিক উইমেন ফিল্ম মেকারস কনফারেন্স’। শনিবার এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Jan 2018, 11:24 AM
Updated : 14 Jan 2018, 11:24 AM

শনিবার সকালে রাজধনীর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তনে উদ্বোধনী আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এ সম্মেলন। উদ্বোধন করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এ সময় উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে নারীদের জন্য দুই অগ্রদূত সুমিতা দেবী ও রওশন জামিলকে উৎসর্গ করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন ও জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সহযোগিতায় আয়োজিত এই সম্মেলনে ৩৫ জনেরও বেশি নারী ও নারীবাদী চলচ্চিত্র নির্মাতা অংশ নিয়েছেন।

রাজনীতিসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়নের কথা উল্লেখ করে তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, “এ ধরণের বিশেষ সম্মেলন সন্দেহাতীতভাবে এদেশের চলচ্চিত্রাঙ্গণে নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।

এদেশের নারীরা প্রায় সব ক্ষেত্রেই যোগ্যতার প্রমাণ রাখছে। চলচ্চিত্র ও মিডিয়া জগতেও পুরুষ ও নারীর একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”

এসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে সৃজনশীল কাজে নারীর অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী। পরে অতিথিদের নিয়ে প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তারানা হালিম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, সব ক্ষেত্রে নারীর সমান অংশগ্রহণ ও অধিকার নিশ্চিত করতে সব সময়ই সচেষ্ট সরকার।

চলচ্চিত্র উৎসব ও নারী নির্মাতা সম্মেলনে সরকারের সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখারও আশ্বাস দেন তিনি।     

অনুষ্ঠানে সম্মেলনের প্রশিক্ষক মিসেস সিডনী লেভিন, উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন ও জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ শেখ ইমতিয়াজসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরিন, চলচ্চিত্রকার বিপাশা হায়াৎ, অভিনেত্রী বন্যা মির্জা প্রমুখ আলোচনা করেন। 

৬টি বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ বিষয়ে আলোচনা করছেন তারা। বিষয়গুলো হল: চলচ্চিত্রে নারীর সমতা নিশ্চিতকরণ, এশীয় অঞ্চলে প্রবীণ নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা, ভারতীয় চলচ্চিত্রে নারীর বৈষম্য হ্রাসে বাংলা চলচ্চিত্রের ভূমিকা, ভারতীয় চলচ্চিত্রে নব দিগন্তের সূচনা নিয়ে সমালোচনা মূলক নারীবাদী আলোচনা, চলচ্চিত্রাঙ্গনে অগ্রদূত হিসেবে নারী, চলচ্চিত্রে দক্ষিণ এশীয় নারী ও পশ্চিমা নারীর তুলনামূলক বিশ্লেষণ।

রোববার উৎসবের সমাপনী সেশনে অংশগ্রহণ করছেন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা অপর্ণা সেন।

উল্লেখ্য ১৯৯২ সাল থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসেবর আয়োজন করে আসছে রেইনবো ফিল্ম সোসাইটি। বিশ্বব্যাপী নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা তৈরির লক্ষ্য নিয়ে ২০১৪ সাল থেকে উৎসবের অংশ হিসেবে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।