জন্মদিনের একদিন আগে থেকেই, প্রিয় শিল্পীকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন শুরু করেন অনুরাগীরা। রাত ১২টা বাজতেই পরিবারের সদস্যরা শুভেচ্ছা জানান তাকে। দিনভর সহকর্মী, আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্খীদের শুভেচ্ছাবার্তায় ভারী হতে থাকে মোবাইল ফোনের ইনবক্স।
ভালোবাসায় সিক্ত বিশেষ এ দিনটি কেমন কাটছে তার?
শনিবার সকালে গ্লিটজকে জানালেন, আর দশটা দিনের মতো নয়, একেবারে আলাদা আমেজে দিনটি কাটছে তার। প্রিয়জনরা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। অনেকের সঙ্গে দীর্ঘদিন পর দেখা হওয়ায় ভালো লাগছে তার।
জন্মদিনের সকালে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে লাইভ অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেছেন তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন তার প্রতিষ্ঠিত সংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘সুরের ধারা’র শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানের ফাঁকে কেক কেটে তার দিনটি উদযাপন করা হয়। এ সময় আরেক রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদসহ চ্যানেলের কর্তাব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ এ দিনে বাবা-মাকে স্মরণ করেন বন্যা।
১৯৫৭ সালের ১৩ জানুয়ারি রংপুর জেলায় জন্ম নেন তিনি। প্রথমে ‘ছায়ানট’ ও পরে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগীতের উপর পড়াশোনা করেন। রবীন্দ্রসংগীতের বাইরে ধ্রুপদী সংগীতেও তার বেশ দখল আছে।
দীর্ঘ কর্মজীবনে অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। ২০১৬ সালে পেয়েছেন স্বাধীনতা পুরস্কার। ২০১৭ সালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘বঙ্গভূষণ’ পদক পান।
একই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক ও পুরস্কার ২০১৭’ পান তিনি।
বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারপার্সন ।