রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ছিন্নপত্র’ অবলম্বনে নাটক ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ রচনা করেছেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক এবং নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন গুণী নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান।
সংগঠনের মুখপাত্র চারু পিন্টু বলেন, “আগামী ১৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় সন্ধ্যা সাতটায় নাটকটির ২৮তম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।”
পালাকার জানায়, নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাকে ঘিরেই নাটকটির কাহিনির আবর্তন। নাটকে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাতিজী ইন্দিরা দেবী চরিত্রটিও।
সাথে সাথে তৎকালীন বাংলাদেশ তথা শিলাইদহ পতিসর শাহজাদপুরের বিচিত্র মানুষ এবং তাদের জীবনও উঠে এসেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরই হাত ধরে।
নাটকটি সম্পর্কে নির্দেশক আতাউর রহমান বলেন, “ ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ নাটকের নায়ক স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ।
তরুণ রবীন্দ্রনাথ ১৮৮৯ সাল থেকে ১৮৯৫ সাল পর্যন্ত যখন শিলাইদহ, পতিসর ও সাজাদপুরে পিতার জমিদারী এস্টেটের দেখভাল করার কাজে নিয়োজিত ছিলেন, তখনকার ইতিবৃত্ত ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’।
আমাদের বঙ্গভূমি একজন রবীন্দ্রনাথকে কীভাবে গড়ে তুলল, তারই প্রতিভাস লক্ষ করা যাবে এই নাটকে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রায় ৩৫ জন অভিনেতা নিয়ে কাজ করেছি, অভিনয়, আবৃত্তি, নৃত্য, কথন ইত্যাদি মিলেমিশে একটি বড় আয়োজন।
নাটকটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনন্য সৃষ্টি ‘ছিন্নপত্র’ অবলম্বনে রচিত। অভিনেয় সময় ১ ঘন্টা ৪০ মিনিটের মতো।
পালাকারের সদস্যদের মনষ্কতা ও নিরলস শ্রম নিয়োগ আমাকে আশাবাদী করে তুলেছে।”
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ২০১০ সালের নভেম্বরে প্রথম মঞ্চে আসে ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’।