সচেতন ভাবেই অভিনয় থেকে দূরে আছেন বলে গ্লিটজকে জানালেন তিনি। এর কারণ হিসেবে চলচ্চিত্র শিল্পের চলমান দূরাবস্থাকে দায়ী করে তিনি গ্লিটজকে বলেন, “সিনেমায় অভিনয়ের কথা আপাতত ভাবছিই না। সিনেমার এখন যে অবস্থা চলছে সেটা সিনেমা করার মত না। আমরা যে ধরনের কাজ করে এসেছি এখন সেটা আমাদের পক্ষে সম্ভব না।”
তিনি আরও বলেন, “দেখা গেল, কোনো রকমে চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকলাম কিন্তু আমার করণীয় কিছু নাই। তার চেয়ে না থাকাটাই ভালো।”
তাহলে আপনাকে আর কোনো চলচ্চিত্রে পাবেন না দর্শকরা?
অভিনয়কে এখনও বিদায় জানাননি বলে জানান তিনি। গ্লিটজকে বলেন, “যদি ভালো চরিত্র, ভালো প্রযোজক ও ভালো ডিরেক্টর পাই তাহলে ভেবে দেখতে পারি।”
“খুব অল্প বয়সে চলচ্চিত্র জগতে এসেছি। জহির রায়হান, খান আতাউর রহমান, সত্যজিৎ রায়ের মতো বিখ্যাত পরিচালকদের সিনেমায় কাজ করেছি। কাজ করতে গিয়ে অনেক কিছু শিখেছি। এর বেশি আর পাওয়ার কিছু নেই। জনগণের ভালোবাসাই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।”-বলেন তিনি।
দিনে দিনে জমানো দর্শকদের ভালোবাসা আর সম্মান হেলায় হারাতে নারাজ এ খ্যাতিমান অভিনয়শিল্পী।
বলেন, “আগে যে সম্মানটা পেয়েছি সেই সম্মান নিয়েই বাঁচতে চাই। অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও লোকে আমাকে ঠিকই ভালোবাসে। এখন আমার পাওয়ার কিছু নেই বরং হারানোর আছে। আমি যে সম্মান পেয়েছি তা এখন আলতু-ফালতু সিনেমায় যুক্ত হয়ে হারাব কেন?”
‘আমি এখনও হারিয়ে যাইনি’-এই ধরনের ফালতু কথা বলেও কোনো লাভ নেই। তিন’শরও বেশি সিনেমায় তো অভিনয় করেছি। এখন খামাখা বদনাম নিয়ে লাভ নেই।”
২০১৫ সালে সর্বশেষ ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা’ নামে একটি চলচ্চিত্র মুক্তি পায় তার। চলতি দশকের শুরু থেকেই অভিনয়ে অনিয়মিত হয়ে পড়েন তিনি।
তার আসল নাম ফরিদা আক্তার পপি। ১৯৬৮ সালে জহির রায়হানের ‘সংসার’ চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিষেক ঘটে। এতে রাজ্জাক-সুচন্দার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্র জগতে তার প্রাথমিক নাম ছিলো ‘সুবর্ণা’। জহির রায়হানের ‘জ্বলতে সুরজ কি নিচে’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে গিয়েই তার নাম ‘ববিতা’ হয়।