নব্বইয়ের দশকে পরিচালক এহতেশামের হাত ধরে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন তিনি। প্রায় পঁচিশ বছরের ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্র। ২০০৫ সালে মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘দুই নয়নের আলো’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
গ্লিটজ: জন্মদিনের শুভেচ্ছা আপনাকে।
শাবনূর: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ধন্যবাদ।
গ্লিটজ: দিনটি কেমন কাটছে?
শাবনূর: খুব মজায় দিনটি কাটছে। আমার বন্ধুরা, সহকর্মীরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ভালো লাগছে ভীষণ। গত তিনদিন ধরেই মজা করছি।
গ্লিটজ: তিনদিন ধরে জন্মদিন উদযাপন চলছে?
শাবনূর: হ্যাঁ! তিনদিন ধরেই আমার জন্মদিন পালন চলছে। জন্মদিন আসলে কোনো উদ্দেশ্য না, উদ্দেশ্য হলো সবার সঙ্গে দেখা হওয়া। অনেকদিন পর পরিচিতদের সঙ্গে দেখা হলে ভালো লাগে।
শাবনূর: সকালে আমার বেবি (আইজান নেহান) গালে চুমু দিয়ে বলেছে, ‘মাম্মি হ্যাপি বার্থডে টু ইউ।’ এটাই আমার সেরা উপহার।
গ্লিটজ: পুত্রকে নিয়ে আপনার স্বপ্ন কী?
শাবনূর: ও তো খুবই দুষ্টু। সারাদিন খুব দুষ্টুমি করে। আমি চাইব, ও আদর্শবান মানুষ হিসেবে গড়ে উঠুক। ও যা হতে সেটাই হবে হবে। আমার যেমন পরিকল্পনা ছিল, তেমনি আমি নায়িকা হয়েছি। আইজানও তার মতো করে কোনো পেশা বেছে নেবে।
গ্লিটজ: দীর্ঘ ক্যারিয়ারে আপনার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি কী?
শাবনূর: দর্শকদের ভালোবাসা। মাঝে মাঝে যখন অস্ট্রেলিয়ায় যখন চলে যাই তখন দেখি দেশের মানুষ কতটা ভালোবাসে আমাকে। দর্শকদের ভালোবাসা পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতে আরো ভালো ভালো কাজ করতে চাই।
গ্লিটজ: মাঝে মাঝে অস্ট্রেলিয়ায় যান কেন?
শাবনূর: বছরে একবার যেতেই হয়। আমার ভাই-বোনসহ পুরো পরিবার অস্ট্রেলিয়ায় থাকে।
গ্লিটজ: এবার আসি চলচ্চিত্রে। মাঝে দীর্ঘদিন গ্যাপ ছিল। কারণ কী?
শাবনূর: গ্যাপ তো হয়নি। চলচ্চিত্র জগতের সবার সঙ্গেই দেখা হয়েছে। নিয়মিত কথাও হয়।
শাবনূর: ফিল্মে তো গ্যাপ তৈরি হওয়ার কথাই। আমার বেবি অনেক ছোট। ছোট বাচ্চা নিয়ে শুটিং করা যায় না। ছেলেরা করতে পারে কিন্তু মায়েদের অনেক সমস্যা থাকে।
গ্লিটজ: নিয়মিত হচ্ছেন কবে?
শাবনূর: এখন আবার কাজ করতে চাইছিলাম। মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের একটি চলচ্চিত্রে নাম লিখিয়েছি। শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মাঝখানে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় কাজটা পিছিয়ে গেল।
গ্লিটজ: নব্বইয়ের দশক থেকে চলচ্চিত্রে কাজ করছেন আপনি। প্রায় তিন দশকের ব্যবধানে বর্তমানে বাংলা চলচ্চিত্রের অবস্থা কেমন দেখছেন?
শাবনূর: চলচ্চিত্র সারাজীবনই ভালো ছিল। তবে সেটা নির্ভর করে সিনেমার উপর। ভালো ছবি নির্মাণ করলে অবশ্যই দর্শকরা সিনেমা দেখে। আমাদের সময়ে একটি সিনেমার পেছনে যে পরিমাণ সময় দেওয়া হতো এখন আর তেমনটা দেখি না।
আগে একটা সিনেমা বানাতেই দেড়বছর লাগত। কিন্তু এখন খুব দ্রুত কাজ হচ্ছে। কারো হাতে সময় নেই। সবাই খুব ব্যস্ত।
আর ভারো ভালো আর্টিস্ট দরকার আমাদের। এখনকার ক্যামেরায় তো আর ফিল্ম লাগে না। ডিজিটাল হয়ে গেছে সব। এখনকার অনেক সিনেমা দেখছি। কিছু কিছু সিনেমা ভালো হয়। কিন্তু এখনকার চলচ্চিত্রে গভীরতা খুঁজে পাই না। খুব ফ্লাট মনে হয়।