নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু পরিচালিত চলচ্চিত্রটিতে বিলকিস বানু চরিত্রে অভিনয়ের জন্য জয়া পেয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
১৬ ডিসেম্বর সারাদেশের ১৫৭ হলে মুক্তি পাচ্ছে ‘গেরিলা’সহ মুক্তিযুদ্ধের ৪ ছবি। বিনামূল্যে সারাদেশের দর্শকদের জন্য ছবি দেখার এই ব্যবস্থা করার জন্য সরকার ও হলমালিকদের সাধুবাদ জানিয়েছেন এ অভিনেত্রী।
দুই বাংলার চলচ্চিত্রে ব্যস্ততম জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী বিজয় দিবসে হলে বসে দর্শকদের সঙ্গে ছবিটি দেখবেন।
শুক্রবার গ্লিটজের সঙ্গে আলাপকালে জয়া বলেন, “সম্ভবত ১৯৭৫সালের পর এবারই দ্বিতীয়বারের মতো সারাদেশে এমন বিনামূল্যে মুক্তিযুদ্ধের ছবি দেখার ব্যবস্থা করলো সরকার। এটা খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
দর্শক যদি নিজের জীবন থেকে একটু সময় বের করে ছবিগুলো দেখেন, তাহলে আমার মনে হয়, মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে আমাদের শেকড়ের যোগটা আবার খুঁজে পাবেন। বিশেষ করে আমাদের নতুন প্রজন্ম যারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে অনেকটা দূরে তাদের জন্য এটা খুব দরকার।”
দর্শকের সঙ্গে কোন হলে বসে দেখবেন জয়া? বিষয়টি নিয়ে এখনও ভাবেননি তিনি। ভাবলেও গোপন করে গেলেন।
‘গেরিলা’ চলচ্চিত্রটি নিয়ে এখনও উচ্ছ্বসিত জয়া। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুক্রবার জয়া লিখেছেন, “ ‘গেরিলা’ আমার অভিনীত একটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র যা মুক্তিযুদ্ধের শিল্প দলিল হিসাবে ইতিমধ্যে সর্বজনস্বীকৃত। আমি ‘গেরিলা’ ছবিতে নিজেকে উজাড় করে অভিনয় করেছিলাম। ‘গেরিলা’য় অভিনয় করার সময় আমার মনে হতো আমি আমার মুক্তিযোদ্ধা পিতার মতো অকুতোভয় এক গেরিলা যোদ্ধা। সে এক অনন্য অনুভূতি।”
‘গেরিলা’ ছাড়াও আগামীকাল বিজয় দিবসে প্রেক্ষাগৃহে বিনামূল্যে দেখানো হবে চাষী নজরুল ইসলামের ‘ওরা এগারোজন’, হুমায়ূন আহমেদের ‘আগুনের পরশমণি’ ও তৌকীর আহমেদের ‘জয়যাত্রা’ চলচ্চিত্রটি।