পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের সাড়াজাগানো ভারতীয় অভিনেত্রী মীনা কুমারী নানা কারণেই ছিলেন আলোচিত ও সমালোচিত।
একই সঙ্গে জনপ্রিয় ও বিতর্কিত এ অভিনেত্রীর জীবনকে অনেকেই তুলনা করে থাকেন হলিউড অভিনেত্রী মেরিলিন মনরোর সঙ্গে।
‘সাহেব বিবি অউর গোলাম’, ‘পাকিজা’, ‘মেরে আপনে’সহ অসংখ্য সাড়া জাগানো সিনেমার এ প্রতিভাময়ী অভিনেত্রীর ব্যক্তিজীবন ঘিরে ছিল নানা বিতর্ক।
হতাশা, মদ্যপান ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে মাত্র ৩৮ বছর বয়সেই লিভার সিরোসিসে ভুগে মারা যান তিনি।
হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, মীনা কুমারীর চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রথমে মাধুরী দীক্ষিত ও পরে বিদ্যা বালনকে প্রস্তাব করেন পরিচালক করণ রাজদানী। কিন্তু দু’জনই এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন।
ফলে, এক রকম বাধ্য হয়েই সানি লিওনিকে প্রস্তাব করেন তিনি। মজার বিষয় হলো মীনা কুমারীর চরিত্রে অভিনয়ের জন্য মাধুরী ও বিদ্যা’র মতো অভিনেত্রীরা ‘সাহস’ না পেলেও একবাক্যেই রাজী হয়েছেন সানি!
এ প্রসঙ্গে পরিচালক করণ বলেন, “ ‘তুমহারি সুলু’র সাফল্যের পর সিরিয়াস চরিত্রের চেয়ে কমেডি চরিত্রের দিকেই বেশি আগ্রহী হয়ে পড়েছেন বিদ্যা বালন। এ কারণে চিত্রনাট্য পড়েই ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।
মাধুরীও তার ব্যস্ততার কারণে সিনেমাটি করতে চাননি।
কিন্তু সানিকে বলা মাত্রই তিনি উৎসাহের সঙ্গে আমার কাছে জানতে চেয়েছেন, কবে সিনেমার শুটিং শুরু হবে?”
তিনি আরও বলেন, “মীনা কুমারীর চরিত্রে সানি আমার প্রথম পছন্দ ছিল না। কারণ মীনা কুমারী একজন শক্তিশালী অভিনেত্রী। তবে অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে সানি ছাড়া আর কেউই এ কাজে সাহস দেখাতে চাইছেন না!”
আবেদনময়ী অভিনেত্রী হিসেবে সুখ্যাতি থাকলেও দুর্বল অভিনয়ের জন্য বক্সঅফিসে সাফল্যের দেখা মেলেনি সানি লিওনির।
সম্প্রতি আরবাজ খানের বিপরীতে ‘তেরা ইন্তেজার’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। এটিও বক্সঅফিসে সাড়া ফেলতে পারেনি।