অনেক কষ্ট করে ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত এনেছেন মনোয়ারা। তার স্বপ্ন ছেলে রাশেদ একদিন প্রতিষ্ঠিত হবে। তার দুঃখের দিন কেটে যাবে। রাশেদও সেই মতো প্রস্তুতি নিতে থাকে। আর মাত্র কয়েকটা মাস। পাশ করে বেরোলেই চাকরি। ঠিক এ সময়ে দেশে বেধে যায় গোলযোগ।
১ মার্চ রেডিও ঘোষণায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করে ইয়াহিয়া খান। পুরো দেশ জ্বলে ওঠে। রাশেদও বসে থাকে না। আন্দোলনের জোয়ারে অন্যসব তরুণের মতো সেও যোগ দেয়।
আসে ২৫ মার্চ। পাকবাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরীহ বাঙালির ওপর। সব দেখেশুনে রাশেদ সিদ্ধান্ত নেয় যুদ্ধে যাবার। কিন্তু সমস্যায় পড়ে মায়ের অনুমতি নিয়ে।
দ্বিধাগ্রস্ত রাশেদের সমস্যা দূর করে দেন মনোয়ারাই। তিনিই ছেলেকে যুদ্ধে যেতে বলেন। মায়ের অনুমতি নিয়ে রাশেদ চলে যায় যুদ্ধে। কয়েক মাস পরে সে ফিরে আসে ঢাকায় গেরিলা অপারেশন চালাতে।
জুলাই মাসে এক সফল অপারেশনে ঢাকার উলন পাওয়ার স্টেশন উড়িয়ে দেয় রাশেদের দল। পাকবাহিনী গেরিলাদের খুঁজতে মাঠে নামে। এক রাতে এসে মায়ের সামনে থেকেই রাশেদ আর তার দুই বন্ধুকে ধরে নিয়ে যায় তারা। তারপর শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন।
অনেক কষ্ট করে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে থানায় আসেন মনোয়ারা। মাকে দেখে আবেগে ভেসে যায় রাশেদ। মনোয়ারা ছেলের আবেগকে পশ্রয় দেন না। বলেন, ওরা যত অত্যাচারই করুক, কোনো কিছু যেন সে স্বীকার না করে।
মায়ের কথায় মনের জোর ফিরে পায় রাশেদ। তার ওপর নেমে আসে ভয়াবহ নির্যাতন। কিন্তু তারপরও কোনো কিছুই সে স্বীকার করে না। এমন গল্পেই এগিয়ে গেছে নাটকের কাহিনি।
নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- মোমেনা চৌধুরী, সাজ্জাদ সাজু, সুষমা সরকার, মোহাম্মদ বারী, আঞ্জুমান আরা বকুল প্রমুখ।