এ প্রসঙ্গে গ্লিটজকে রিপন বলেন, “লাভলু ভাই নিজেও খবরটি শুনে বিস্মিত হয়েছেন। সুস্থ একজন মানুষকে নিয়ে কীভাবে এই ধরনের গুজব ছড়ানো হলো? খবরটি সম্পুর্ণ মিথ্যা। রাতে খবরটি শোনার পর থেকে আমরা প্রচুর দৌড়াদৌড়ি করেছি। ওনার অফিসে খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি উনি সুস্থ আছেন।”
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার রাতে। কে বা কারা ফেইসবুকে পোস্ট করে এ নির্মাতার অসুস্থতার জন্য দোয়া প্রার্থনা করেছেন। খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর পরই উৎকন্ঠা বাড়তে থাকে নাটকপাড়ায়। ফোনে খোঁজ খবর নেওয়ার চেষ্টা করেন অনেকে। কিন্তু তিনি শুটিংয়ে থাকায় ফোনটি বন্ধ পাওয়ায় যায়। ফলে গুজবটি আরো ডানা মেলতে থাকে। গ্লিটজ এর পক্ষ থেকে তার ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
যে ব্যক্তি এই ভুয়া খবরটি ছড়িয়েছে সে পরে দুঃখ প্রকাশ করেছে। পরে ফেইসবুক পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে বলে জানান রিপন। বৃহস্পতিবার রাতে সালাউদ্দিন লাভলুর ঘনিষ্ট কয়েকজন নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীও প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিলেন, খবরটি তারাও শুনেছেন। তবে তারা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।
১৯৬২ সালের ২৪ শে জানুয়ারি জন্ম নেন এ দর্শকপ্রিয় নির্মাতা-অভিনেতা। ক্যারিয়ারের শুরুতে যোগ দেন আরণ্যক নাট্যদলে। পরবর্তীতে নব্বইয়ের দশকের শুরুতে চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ শুরু করলেও বছর ছয়েক পর নাম লেখান নির্মাণে। তার পরিচালিত ‘রঙের মানুষ’ ধারাবাহিকটি দর্শকমহলে দারুণ সাড়া ফেলে।
পরবর্তীতে ‘গরু চোর’, ‘পত্র মিতালী’, ‘স্বপ্নের বিলাত’, ‘ঢোলের বাদ্য’, ‘পাত্রী চাই’ ও ‘ওয়ারেন’ সহ বেশকিছু দর্শকপ্রিয় নাটকে কাজ করেছেন তিনি।
২০০৫ সালে তার নির্মিত ‘মোল্লা বাড়ির বউ’ চলচ্চিত্রটি দর্শকমহলে আজও সমাদৃত।