১৮ নভেম্বর ঢাকার জাতীয় জাদুঘরের সিনেপ্লেক্সে বিড়ালপাখি সিনেক্লাবের আয়োজনে ক্লাবটির নিয়মিত নেটওয়ার্কিং অনুষ্ঠান ‘বিড়ালপাখির মজমা’র ১৬তম আসর অনুষ্ঠিত হলো। বিষয়ভিত্তিক মতবিনিময়ের এআয়োজনে এবারের বিষয় ছিলো সিনেমার আন্তর্জাতিক প্রযোজনা। এবারের আসরে আলোচক হিসেবে অংশ নেন দুই দেশের দুই প্রযোজক— ফ্রান্সের ডমিনিক ওয়েলিনস্কি এবং বাংলাদেশ থেকে ‘শুনতে কি পাও’ প্রযোজক সারা আফরীন।
নির্মাতা তারেক মাসুদের মাটির ময়না’য় অন্যতম প্রযোজক ছিলেন ডমিনিক ওয়েলিনস্কি। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “চিত্রনাট্য তো জরুরি বটেই। পাশাপাশি একজন তরুণ নির্মাতা গল্পটি কেন চলচ্চিত্র মাধ্যমে দেখাতে চান, সে বিষয়েও পরিষ্কার থাকা উচিত।” বর্তমানে তিনি কামার আহমাদ সাইমনের ‘শিকলবাহা’য় সহ-প্রযোজনা করছেন।”
সারা আফরীন বলেন, “প্রযোজক হিসেবে মাঠে নামার আগে সিনেমা ও তার আন্তর্জাতিক বাজার নিয়ে যথাযথ প্রস্তুতি প্রয়োজন। বিশ্বের প্রধান প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ইডফা ও অন্যতম প্রাচীন প্রামাণ্য উৎসব ডক-লাইপজিগে ‘শুনতে কি পাও’ প্রদর্শনীর সূত্র ধরে সারা তাঁর প্রযোজনা ও পরিবেশনার উপলব্ধি তুলে ধরেন নবীন নির্মাতাদের সামনে।”
অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে ডমিনিক বলেন, “প্রযোজক বা অর্থলগ্নিকারীদের তুষ্ট করতে পরিচালকদের কখনই নিজের ভাবনার ও মতাদর্শের সঙ্গে আপোষ করা যাবে না।”
এ সময় কান চলচ্চিত্র উৎসবে সম্ভাবনাময়ী নির্মাতাদের জন্য তার ‘ফ্যাক্টরি’ প্রকল্পের গল্পও শোনান তিনি। তিনি প্রত্যাশা করেন, বাংলাদেশ থেকে শুধু গুটিকয় নির্মাতা নন, শ’খানেক নবীন নির্মাতাদের আনাগোনা থাকুকবিশ্বের উল্লেখযোগ্য উৎসবগুলোতে।
আলোচনা শেষে ডমিনিকের যৌথ প্রযোজনায় তিনটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী হয়। লেবানন ও ফ্রান্সের ‘হোয়াইট নয়েজ’, ফিনল্যান্ড ও জাম্বিয়ার ‘লিসেন’, তাইওয়ান ও ইরানের ‘মিস্টার চ্যাঙ’স নিউ অ্যাড্রেস’। কানচলচ্চিত্র উৎসবের ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট বিভাগে সিনেমাগুলোর উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়।
প্রদর্শনী শেষে আগত তরুণ নির্মাতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন প্রযোজকদ্বয়। বরাবরের মতই আসরটি সঞ্চালনা করেন বিড়ালপাখি সিনে ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি ইশতিয়াক জিকো।
উদীয়মান সিনে নির্মাণশ্রমিকদের কমিউনিটি হিসেবে পরিচিত সিনে ক্লাবটির মাসিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয় এই মজমা।