ভালো গাইলেই গান শেখানো যায় না: রুনা লায়লা

গানের সঙ্গেই কাটিয়েছেন প্রায় পঞ্চাশ বছর। বাংলার বাইরে উর্দু, পাঞ্জাবি, হিন্দী, সিন্ধি, গুজরাটি, বেলুচি, পশতু, ফার্সি ভাষাসহ মোট ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান করেছেন তিনি। ১৭ নভেম্বর (শুক্রবার) ৬৪ বছর পেরোচ্ছেন উপমহাদেশের খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। জন্মদিন উপলক্ষে গ্লিটজের মুখোমুখি হলেন এ গুণী সংগীতশিল্পী।

সাইমুম সাদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Nov 2017, 01:16 PM
Updated : 17 Nov 2017, 01:18 PM

গ্লিটজ: জন্মদিনে পরিকল্পনা কী আপনার?

রুনা লায়লা: তেমন কিছুই করব না। কাছের মানুষদের সঙ্গে দিনটি কাটানোর ইচ্ছা আছে।

গ্লিটজ: আপনার স্বামী চিত্রনায়ক আলমগীর প্রত্যেক জন্মদিনেই আপনাকে সারপ্রাইজ দেন। এবার কিছু টের পেলেন?

রুনা লায়লা: এখনো ধরতে পারিনি। জানি না।

গ্লিটজ: জন্মদিনে কোন স্মৃতিগুলো মনে পড়ে?

রুনা লায়লা: বাবা-মা আর বড়বোনকে মিস করি খুব। বড়বোন গতবছর মারা গেছে। বাবা-মাও বেঁচে নেই।

গ্লিটজ: প্রায় পঞ্চাশ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে আপনার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি কী?

রুনা লায়লা: মানুষের ভালোবাসা। তাদের শ্রদ্ধা, ভক্তি ও আশির্বাদই আমাকে এতদূর নিয়ে এসেছে।

গ্লিটজ: ব্যক্তিজীবনে আলমগীর-রুনা লায়লা জুটিকে আদর্শ মানেন তরুণ দম্পতিরা। দু’জনের সম্পর্কের রহস্য কী?

রুনা লায়লা: একজনের প্রতি আরেকজনের শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হয়। আমি গান গাইছি, উনি অ্যাক্টিং করছেন, কিন্তু আমাদের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া আছে। সঙ্গে সম্মান, বিশ্বাস আর ভালোবাসা তো আছেই। কখনো কারো স্বাধীনতায় আমরা হস্তক্ষেপ করি না। সে কোনোদিন আমার উপর কিছু চাপিয়ে দেয় না, আমিও কোনোদিন উনার উপর কিছু চাপিয়ে দেইনি। আমরা একজন আরেকজনের সঙ্গে আলোচনা করি যে, কাজটা কীভাবে করব বা কীভাবে করলে ভালো হয়।

গ্লিটজ:
মিডিয়াতে এখন প্রচুর বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটছে। তাদের জন্য কী ধরনের পরামর্শ দেবেন?

রুনা লায়লা: যার যার বিচ্ছেদ হচ্ছে সেটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। ঠিক কী কারণে বিচ্ছেদ ঘটছে সেটা তো আমার পক্ষে জানা সম্ভব নয়। কিন্তু আমি যে কথাগুলো বললাম সেগুলো যদি থাকে তাহলে তো কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না।

গ্লিটজ: বর্তমানে অনেক সিনিয়রশিল্পীরা তরুণদের গান শেখানোর জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান করছে। আপনার এ ধরনের পরিকল্পনা আছে কি না?

রুনা লায়লা: আমার সেরকম পরিকল্পনা নেই। তবে এমনিতে যখন কোনো শিল্পী আমার কাছে এসে কিছু জানতে চায় তখন আমি টেকনিকগুলো বলি। ওই রকম কোনো ইন্সটিটিউশন করার পরিকল্পনা নেই।

গ্লিটজ: সেক্ষেত্রে কাছের কিছু মানুষ হয়ত আপনার কাছ থেকে পরামর্শ পাচ্ছে। কিন্তু অনেক তরুণরা কিন্তু বঞ্চিত হচ্ছে।

রুনা লায়লা: আমি গান গাই বলে যে শেখাতে পারব সেটা বলতে পারছি না। গান গাইতে পারলেই গান শেখানো যায় না। শেখাতে গেলে আলাদা দক্ষতা লাগবে। এটা সবাই পারে না।

গ্লিটজ: দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো একটি গানে সুর আরোপ করতে দেখা গেছে। ভাবনাটা কীভাবে এলো?

রুনা লায়লা: হঠাৎ করেই হয়েছে। নিজেও কোনোদিন ভাবিনি সুর করতে পারব। গানটা আলমগীর সাহেবের নতুন সিনেমায় (একটি সিনেমার গল্প) নেওয়া হয়েছে। আঁখি আলমগীর গেয়েছে।

গ্লিটজ: সুরে তাহলে এখন থেকে আপনাকে নিয়মিতই পাচ্ছে শ্রোতারা?

রুনা লায়লা: হা..হা। দেখি চেষ্টা করব। খুব কঠিন ব্যাপার সুর করা। গাইলেই সুর করা যায় না। গাইলেই গান শেখানো যায় না। দেখি চেষ্টা করি।