শিল্পকলায় রাধারমণ উৎসব

বৈষ্ণব সাধক, মরমি লোককবি রাধারমণ দত্ত গানে-গানে অসাম্প্রদায়িকতার বার্তা দিয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Nov 2017, 07:31 PM
Updated : 16 Nov 2017, 07:42 PM

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চে রাধারমণ দত্তের ১০২তম জন্মদিন উপলক্ষে রাধারমণ সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র আয়োজিত ‘রাধারমণ সঙ্গীত উৎসব’ এর প্রধান অতিথির ভাষণে এই কথা বলেন তিনি।

ফরাসউদ্দিন বলেন,  “নানা কারণে কখনও কখনও মানুষের মন বিক্ষিপ্ত হয়, ক্ষত-বিক্ষত হয়। মানুষ বিমর্ষ হয়। সে সময় সাধক রাধারমণের গান শুনলে মনে এক ধরনের স্থিরতা আসে। তার গানের ভেতর প্রেমের পাশাপাশি মানুষ ও অসাম্প্রদায়িকতা উঠে এসেছে।

“তরুণ প্রজন্মরা তার এ সব গানের দর্শন থেকে শিক্ষা নিলে বাংলাদেশে একদিন অসাম্প্রদায়িকতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে।”

শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত মাঠে তিন দিনের ‘রাধারমণ সঙ্গীত উৎসবের উদ্বোধন করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত লোকসঙ্গীত শিল্পী সুষমা দাশ।

গানের পর্ব শুরুর আগে উদ্বোধক সুষমা দাশ গেয়ে শোনান ‘ও আমার শ্যাম বিনে প্রাণ বাঁচে না’সহ রাধারমণের কয়েকটি গান। এর পর গানের পালায় একে একে সঙ্গীত পরিবেশন করেন ঢাকা অঞ্চলের ১৮জন শিল্পী ও দুইটি সাংস্কৃতিক দল। বিশ্বজিৎ রায় পরিবেশন করেন ‘গৌর নামে চলছে গাড়ি’ ও ‘হরি গুণাগুণ কৃষ্ণ গুণাগুণ’।

একক গান পরিবেশন করেন আবু বকর সিদ্দিক, আকরামুল ইসলাম, শাহনাজ বেলী, অনিমা মুক্তি গোমেজ, দিল আফরোজ রুবা, দীপ্তি রাজবংশী, চম্পা বণিক, খায়রুল ইসলাম, মুগ্ধ সরকার, শরীফা নাজনীন তৃপ্তি, সালাম, মানিক, ও মুক্তা।

দলীয় সঙ্গীত পরিবেশনায় অংশ নেয় দুইটি দল। রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্রের শিল্পীরা গেয়ে শোনান ‘সজনি তোরা জল আনিতে যাবেনি’ ও ‘সুরধনির কিনারায়’। মন্দিরা শিল্পী গোষ্ঠী ‘বলগো বলাগো সখি’ ও ‘প্রাণসখিরে ওই শোন কদম্বতলে’।

শুক্রবার উৎসবের দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল ৫টায়। এদিন সঙ্গীত পরিবেশন করবেন সিলেট, হবিগঞ্জ ও নবীগঞ্জের শিল্পীরা। কাল শনিবার সমাপনী দিনের অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল ৫টায়।

তিন দিনের এই উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে প্রয়াত রাজনীতিবিদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও সঙ্গীতগুণী অধ্যাপক করুণাময় গোস্বামীকে।