ঢাকা শহরের আকাশে রাতের বেলা কোনো তারা দেখা যায় না। তারার সাথে যোগাযোগের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এক ধূসর আবরণ, যার মূল কারণ প্রাকৃতিক দূষণ। প্রকৃতি প্রেমী কবি আবিদ হায়দার এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মর্মাহত। দূষণমুক্ত প্রকৃতি তার কাম্য। তিনি প্রাণ ভরে রাতের আকাশের তারা উপভোগ করতে চান।
তিনি মনে করেন এটি তাঁর এবং তাঁর প্রজন্মের অধিকার। তাই মৃত্যুর পরেও এই দাবী থেকে সরে আসতে চান না তিনি।- এমন গল্পে ক্রাউডফান্ডিং ফিল্ম ইনিসিয়েটিভ বাংলাদেশের উদ্যোগে নির্মিত হলো ‘একজন কবির মৃত্যু’।
নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্রটির নির্মাণ কাজ শেষে গত ৯ অক্টোবরে সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হয়। ১৫ অক্টোবর সেন্সর বোর্ড ছবি দেখে আনকাট সেন্সর সার্টিফিকেট দেবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। নির্মাতা আবু সাইয়ীদ সোমবার গ্লিটজকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
উৎসবে যোগদানের জন্য পরিচালক আবু সাইয়ীদ, অভিনেতা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় এবং অভিনেত্রী আইরিন সুলতানা বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হয়েছেন।
২০১৫ সালের ৭ অক্টোবর পাবলিক লাইব্রেরি সেমিনার হলে এক সংবাদ সম্মেলন এবং সেমিনারের মধ্য দিয়ে গণ-অর্থায়নে চলচ্চিত্র নির্মাণের যাত্রা শুরু হয়। সংবাদ সম্মেলনে চলচ্চিত্র পরিচালক আবু সাইয়ীদ গণ-অর্থায়নে চলচ্চিত্র নির্মাণের বিস্তারিত পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
এরপর প্রথম গণ-অর্থায়নে চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ হিসেবে ‘সংযোগ’ ছবির চিত্রগ্রহণের কাজ শুরু হয়। ছবিটির পঁচিশ ভাগ চিত্রগ্রহণের সম্পন্ন হয়েছে। অচিরেই এই ছবির অবশিষ্ট চিত্রগ্রহণের কাজ শুরু হবে।
নির্মাতা আবু সাইয়ীদ বলেন, “ ‘সংযোগ’ বাংলাদেশে গণঅর্থায়নে চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রথম উদ্যোগ এবং ‘একজন কবির মৃত্যু’ প্রথম নির্মিত ছবি। ১০০ টাকা থেকে ৩ লক্ষ ১ টাকা পর্যন্ত টাকা প্রদানের মধ্য দিয়ে এখনও পর্যন্ত সমাজের বিভিন্ন স্তরের চার হাজারের অধিক ব্যক্তি এই গণ-অর্থায়ন প্রক্রিয়ায় নিজেদেরকে যুক্ত করেছেন। এবং ক্রমাগত এই প্রক্রিয়ার প্রসার লাভ ঘটছে। গণ-অর্থায়নে চলচ্চিত্র নির্মাণের এই উদ্যোগ চলচ্চিত্র অর্থায়নে নতুন এক ধারা তৈরি করবে এমন বিশ্বাস থেকেই এই উদ্যোগ।”