দিওয়ালি মানেই প্রেমের সিনেমা- দীর্ঘদিন ধরে এমনটাই প্রচলিত বলিউডে। ১৯৯৫ সালে আদিত্য চোপড়া পরিচালিত ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ দিয়ে দর্শকমাৎ করেছিলেন শাহরুখ খান ও কাজল।
আজও বলিউডের অন্যতম সফল সিনেমা হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে এ সিনেমাটিকে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অবলম্বনে চলুন জেনে নিই কী সেই কারণগুলো যার জন্য আজও জনপ্রিয় ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’।
শাহরুখ-কাজল জুটির জাদু:
শাহরুখ-কাজল জুটি বরাবরই বলিউডের অন্যতম সেরা জুটি। এ ছবিতেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
রাজ আর সিমরান চরিত্রে শাহরুখ-কাজলের অসাধারণ অভিনয় দর্শককে মুগ্ধ করে আজও। বিশেষ করে রোমান্টিক ও গানের দৃশ্যগুলোতে তাদের জমজমাট পর্দা রসায়ন যেন কখনো ভোলার নয়!
প্রেমের গল্পে নতুনত্ব:
‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’র আগে বলিউডে প্রেমের গল্প ছিল না এমনটা নয় বরং বলিউডে ব্যবসাসফল হওয়ার জন্য কাহিনিতে প্রেমের ছোঁয়া থাকাটাকেই জরুরি হিসেবে দেখেছেন নির্মাতারা।
তবে ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’র গল্পে ছিল নতুনত্ব।
গৎবাঁধা ভালো ছেলের ইমেজ ভেঙে এ ছবিতে ‘খারাপ ছেলে’ রাজকে প্রেমের টানে ভালো হতে দেখা গেছে। যা বলিউডের প্রেম-কাহিনিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
মন মাতানো গান:
এ সিনেমার অন্যতম আকর্ষণ এর গান। যতীন ললিতের সংগীতায়োজনে উদিত নারায়ণ, লতা মুঙ্গেশকর ও আশা ভোঁসলের কন্ঠে ‘মেহেদি লাগা কে রাখনা’, ‘রুখ যা ও দিল দিওয়ানে’, ‘তুঝে দেখা তো ইয়ে জানা সনম’ গানগুলোর আবেদন ফুরোবার নয়।
মনোরম গ্রামীণ পরিবেশ ও ভারতীয় সংস্কৃতির উপস্থাপণ:
বলা হয়ে থাকে ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’র আগে এত সুন্দর করে ভারতীয় গ্রামের দৃশ্য আর কোনো সিনেমায় দেখানো হয়নি। গ্রামের খোলা সরিষা ক্ষেত ও কাশবনের মনোরম দৃশ্যায়নের পাশাপাশি এ সিনেমায় দেশপ্রেমকেও বড় করে দেখানো হয়েছে।
বিশেষ করে এ ছবিতে শেষ দৃশ্যে রাজের মুখে বেশ কিছু সংলাপে ভারতীয় সংস্কৃতিকে প্রশংসা করে কথা বলতে দেখা গেছে। প্রথাবিরোধী নয় বরং ভারতীয় সংস্কৃতিই মহান- এ বিষয়গুলোও পরোক্ষভাবে দর্শকরে মনে দাগ কেটেছে।