গল্পটা পাশাপাশি বাড়ির দুই তরুণ-তরুণী শবনম ফারিয়া ও ইমনকে ঘিরে। ইমন থাকেন ছাদের চিলেকোঠায়। মুখ দেখাদেখি থেকে ভালো লাগা, তারপর প্রেম।
বাধ সাধে এলাকার দর্জি ছেলেটা। ফারিয়ার প্রতি অন্যধরণের আকর্ষণ অনুভব করে সেও। কিন্তু প্রতিনিয়ত ইমনের সঙ্গে ফারিয়ার রোমান্স চোখে পড়ে তার। ইর্ষায় জ্বলে সে হুমকি দেয় ইমনকে।
ইমন গা লাগায় না। বলে, “এই জাদুর শহরে, ফুলকেও টোকা দিয়ে পায়রা বানিয়ে নিতে পারি আমি!” একদিন চূড়ান্ত মুহূর্তে দর্জির সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তিতে মারা পড়ে ইমন। বাড়ির জানালায় দাঁড়িয়ে এ দৃশ্য দেখে ফেলে শবনম ফারিয়া।
টেলিছবিটির নির্মাতা মুসাফির সৈয়দ বললেন, “উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের একটা মেয়ের ছুরিকাঘাতে নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে একটা সংবাদ পড়ি আমি। সে ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নাটকটি লেখা ও নির্মাণ করা। শহরের মতোই গল্পের নানা চোরাগলি পেরিয়ে আমরা নাটকটির একটি সমাপ্তিতে পৌঁছেছি।”
গত ১০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বিভিন্ন লোকেশনে টেলিছবিটির চিত্রায়ন শুরু হয়। নির্মাণ শেষে এক মাসের মাথায় এটি প্রচার হতে যাচ্ছে। চ্যানেল আইতে ১১ অক্টোবর বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে লাক্স মাঝ দুপুরের টেলিছবি হিসেবে প্রচার হবে ‘হেমন্তের বৃষ্টি’।
শবনম ফারিয়া ও ইমন ছাড়াও নাটকটিতে অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন, সজীব তালুকদার, ইমন, ইমেল হক, ইউসুফা আক্তার প্রমুখ।