সিনেমা হল। নামটা শুনলেই অনেকগুলো চরিত্র চোখের সামনে ভেসে উঠে। লাইটম্যান, গেইটম্যান, টিকিট বিক্রেতা, ম্যানেজার, সুপারভাইজার, মেশিনম্যান, হলের মালিক ও তাদের পরিবার পরিজন, হলের সামনের সাইকেল স্ট্যান্ড, দোকানদার, বাদামওয়ালা এমনকি কালোবাজারী সহ নানা পেশার নানা শ্রেণির মানুষ। এসব মানুষের চরিত্রগুলোকে নিয়েই তৈরি হয়েছে নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘সিনেমা হল’।
কচি খন্দকারের রচনা ও পরিচালনায় নাটকটি আগামীকাল ১১ অক্টোবর থেকে প্রতি বুধ ও বৃহস্পতিবার, রাত ৮টায় প্রচার হবে এটিএন বাংলায়।
এ আত্মবিশ্বাসে ভর করেই মোশাররফ করিম আবুল হায়াতের মালিকানাধীন পুরনো ‘মধুবালা’ সিনেমা হলটি কিনতে যান।
অর্থনৈতিক সংকট থাকলেও আত্মবিশ্বাসের পরিচয় হিসেবে মোশাররফ ঘোড়ায় চড়ে রওনা হন সিনেমা হল কিনতে। এই সিনেমা হল কিনতে যাওয়াকে ঘিরেই শুরু হয় ধারাবাহিক নাটকটির কাহিনি।
মঙ্গলবার নাটকটির গল্প প্রসঙ্গে এমনটাই বলেছেন নির্মাতা কচি খন্দকার। তিনি বলেন, “২০০৮-২০০৯ সালে এফডিসি নাটকটি নির্মাণের পর আমার মনে হয়, এফিডিসি থেকে নির্মাণের পর সিনেমাগুলো কোথায় যায়? সিনেমা হলে যায়। ফলে সিনেমাহলকে ঘিরেও কিন্তু প্রচুর গল্প বাকি থাকে। সে চিন্তা থেকেই ‘সিনেমা হল’ ধারাবাহিকটি নির্মাণ করা।”
এফডিসিতে মফস্বলের আবহ ও সিনেমা হলের সেট তৈরি করে নির্মিত হচ্ছে নাটকটি। নির্মাতা বলেন, একশ’ পর্ব নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও পরবর্তীতে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। নাটকের শিরোনাম সংগীতটি লিখেছেন মারজুক রাসেল। সংগীতায়োজন করেছেন পলাশ নূর।
নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, মোশাররফ করিম, আবুল হায়াত, তারিক আনাম খান, ফারুক আহমেদ, চিত্রনায়ক ইমন, শর্মিলী আহম্মেদ, চিত্রলেখা গুহ, নাদিয়া নদী, মিলন ভট্টাচার্য, আনোয়ার শাহী, সিদ্দিক মাস্টার, সৈয়দ প্রামাণিক, হিমে হাফিজ, মুজিবর, আফরোজা, সূচনা, আরিফুর প্রমুখ।