ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীর আহ্বানে ‘গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব’ শুরু

বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের মধ্যকার মৈত্রীর সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার প্রত্যয়ে ঢাকার শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Oct 2017, 06:59 PM
Updated : 6 Oct 2017, 07:00 PM

রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার তিনটি মিলনায়তনে শুক্রবার থেকে একযোগে শুরু হয়েছে এ উৎসব। ১০ দিনের এ উৎসব চলবে আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত।

যৌথভাবে এ উৎসবের আয়োজন করেছে গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব পর্ষদ। সহযোগিতায় রয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, শিল্পকলা একাডেমি ও ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন।

সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে  উৎসব উদ্বোধন করেন নাট্যজন আলী যাকের।

উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউটÑআইটিআই’র বিশ্ব সাম্মানিক সভাপতি রামেন্দু মজুমদার, নাট্যজন মামুনুর রশিদ ও শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, “সরকার আসে, সরকার যায়। কিন্তু দুই দেশের মানুষ তো থেকে যাবে। সংস্কৃতির এমন উৎসবের মাধ্যমে আমরা দুই দেশের মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধন আরও দৃঢ় করতে চাই।”

আলী যাকের বলেন, “ভারত ও বাংলাদেশের দুটো নাট্যধারাই সর্বভারতীয় সংস্কৃতির অংশ। সেই সংস্কৃতির অংশ আমরা, যা অবিভাজ্য। এই উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে দুটি নাট্যধারার দর্শক একই সংস্কৃতির দিকে ধাবিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।”

রামেন্দু মজুমদার বলেন, “আমদানি-রপ্তানি বিশ্বাস করে নিম্নমানের নাটক আমদানি ও রপ্তানি করা যাবে না। বাংলাদেশের নাট্যোৎসবে ভারতীয় নাটকের প্রতি আগ্রহ থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের দলগুলো এ দেশের নাটকের ব্যাপারে বড় উদাসীন।”

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে আজাদ আবুল কালামের রচনা ও নির্দেশনায় প্রাচ্যনাট মঞ্চস্থ করে নাটক ‘সার্কাস সার্কাস’। একই সময় জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে প্রাঙ্গণেমোর ‘কনডেমড সেল’ ও স্টুডিও থিয়েটার হলে লোক নাট্যদল (বনানী) পরিবেশন করে ‘বৈকুণ্ঠের খাতা’।

শনিবার বিকাল ৪টা থেকে জাতীয় নাট্যশালার মুক্তমঞ্চে থাকছে নাচ, গান, আবৃত্তি, পথনাটক, মূকাভিনয় ও শিশু-কিশোর পরিবেশনা। সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে ঢাকা থিয়েটার ‘ধাবমান’, পরীক্ষণ থিয়েটার হলে সময় ‘যযাতি’ এবং স্টুডিও থিয়েটার হলে নাট্যচক্র ‘মৃত্যুক্ষুধা’ মঞ্চায়ন করবে।