রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার তিনটি মিলনায়তনে শুক্রবার থেকে একযোগে শুরু হয়েছে এ উৎসব। ১০ দিনের এ উৎসব চলবে আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
যৌথভাবে এ উৎসবের আয়োজন করেছে গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব পর্ষদ। সহযোগিতায় রয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, শিল্পকলা একাডেমি ও ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন।
সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে উৎসব উদ্বোধন করেন নাট্যজন আলী যাকের।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, “সরকার আসে, সরকার যায়। কিন্তু দুই দেশের মানুষ তো থেকে যাবে। সংস্কৃতির এমন উৎসবের মাধ্যমে আমরা দুই দেশের মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধন আরও দৃঢ় করতে চাই।”
আলী যাকের বলেন, “ভারত ও বাংলাদেশের দুটো নাট্যধারাই সর্বভারতীয় সংস্কৃতির অংশ। সেই সংস্কৃতির অংশ আমরা, যা অবিভাজ্য। এই উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে দুটি নাট্যধারার দর্শক একই সংস্কৃতির দিকে ধাবিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে আজাদ আবুল কালামের রচনা ও নির্দেশনায় প্রাচ্যনাট মঞ্চস্থ করে নাটক ‘সার্কাস সার্কাস’। একই সময় জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে প্রাঙ্গণেমোর ‘কনডেমড সেল’ ও স্টুডিও থিয়েটার হলে লোক নাট্যদল (বনানী) পরিবেশন করে ‘বৈকুণ্ঠের খাতা’।
শনিবার বিকাল ৪টা থেকে জাতীয় নাট্যশালার মুক্তমঞ্চে থাকছে নাচ, গান, আবৃত্তি, পথনাটক, মূকাভিনয় ও শিশু-কিশোর পরিবেশনা। সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে ঢাকা থিয়েটার ‘ধাবমান’, পরীক্ষণ থিয়েটার হলে সময় ‘যযাতি’ এবং স্টুডিও থিয়েটার হলে নাট্যচক্র ‘মৃত্যুক্ষুধা’ মঞ্চায়ন করবে।