বুধবার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিযোগিতার রায় পুনর্মূল্যায়নের পর তাদেরকে বাদ দিয়ে নতুন ফলাফল ঘোষণা করেন আয়োজকরা।
নতুন ঘোষিত রায়ে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে জেসিয়া ইসলামকে মুকুট পরিয়ে দেওয়া হয়। প্রথম রানারআপ হিসেবে ফাতেমা তুজ জাহরা ও দ্বিতীয় রানারআপ হিসেবে চমক ও সঞ্চিতার নাম ঘোষণা করা হয়। রায়ের সেরা দশের তালিকায়ও ছিল না হিমির নাম।
এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন হিসেবে জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল, প্রথম রানার আপ জেসিয়া ইসলাম ও দ্বিতীয় রানারআপ হিসেবে জান্নাতুল সুমাইয়া হিমির নাম ঘোষণা করা হয়েছিল।
বিয়ের খবর গোপন করায় গণমাধ্যমে সমালোচিত হয়েছিলেন এভ্রিল। তাকে ঘিরে তৈরি হওয়া সমালোচনার মুখে রায় পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেয় আয়োজকরা।
নতুন রায়ে এভ্রিলকে বাদ দেওয়ার কারণটি স্পষ্ট হলেও হিমিকে বাদ দেওয়ার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি করেছে। পুনর্মূল্যায়নের ক্ষেত্রে হিমিকে বাদ দিয়ে বাকি নয়জনের নম্বরপত্র মূল্যায়ণ করে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।
কোন অভিযোগে হিমিকে বাদ দেওয়া হলো?
আয়োজকরা জানিয়েছে, অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত আছেন শুধুমাত্র তাদের নম্বরপত্রই মূল্যায়ণ করা হয়েছে। হিমি অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকায় তাকে রাখা হয়নি।
এই সিদ্ধান্তকে আয়োজকদের ‘মনগড়া’ বলে অভিহিত করে তিনি বলেন, “তাদের (আয়োজক) কোনো টাইটেল আমি চাই না।”
অনুষ্ঠানে আপনি উপস্থিত ছিলেন না কেন?
‘হঠাৎ দেখা’ চলচ্চিত্রের এই অভিনেত্রী বলেন, “শুরুতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু পরে আর যাইনি। কারণ একাত্তর টিভির লাইভ অনুষ্ঠানে স্বপন স্যার, শম্পা রেজা ম্যামসহ আমি যোগ দিয়েছিলাম। সেখানে স্বপন স্যারকে প্রশ্ন করেছিলাম, আগামীকাল নাম ঘোষণায় ন্যায়বিচার হবে কি না? উনি প্রশ্নের উত্তর দিতে অনাগ্রহ দেখান।”
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের ফল ঘোষণায় প্রথমে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে হিমির নামই ঘোষণা করা হয়েছিল, যা ভুলবশত হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন আয়োজকরা। তারপর থেকেই প্রতিযোগিতার রায় ঘোষণায় অবিচার করা হয়েছে অভিযোগ করে ন্যায়বিচার চেয়েছিলেন হিমি।
সেই প্রসঙ্গটি টেনে বললেন, “প্রথম অনুষ্ঠানেই সুষ্ঠু বিচার হয়নি। যেখানে আমাকে মূল্যায়ণ করা হয়নি সেখানে অবশ্যই থাকব না। এখানে ন্যায়বিচারের আশাও করিনি।”
নতুন চ্যাম্পিয়ন জেসিয়া ইসলামের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন তিনি।