‘রাজ্জাক ভাইয়ের জীবন ছিয়াত্তর বছরের একটি চলচ্চিত্র’

তিন শতাধিক চলচ্চিত্রের কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচয়িতা ছটকু আহমেদ, পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। তার পরিচালনায় প্রথম চলচ্চিত্রের নায়ক ছিলেন রাজ্জাক। দীর্ঘ চলচ্চিত্র জীবনে খুব কাছ থেকে দেখেছেন চলচ্চিত্রের প্রতি, ইন্ডাস্ট্রির প্রতি এই মহানায়কের প্রেম ও দায়িত্ববোধ। সে দেখা থেকেই নায়করাজের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ছটকু আহমেদ শুরু করেছিলেন নায়করাজের জীবনীগ্রন্থ ‘টালিগঞ্জ থেকে ঢালিউড’ রচনার কাজ। আসছে একুশে বইমেলায় বইটি প্রকাশ করতে যাচ্ছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর পাবলিশিং লিমিটেড বিপিএল। সে সূত্রেই সম্প্রতি গ্লিটজের মুখোমুখি হয়েছিলেন ছটকু আহমেদ।

রুদ্র হকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Sept 2017, 03:26 PM
Updated : 11 Sept 2017, 12:29 PM

গ্লিটজ: চলচ্চিত্র জগতে আপনার যাত্রা শুরু কিভাবে?

ছটকু আহমেদ: আমিতো বেসিকালি ইঞ্জিনিয়ার ছিলাম। আমার বাল্যবন্ধু ছিলো হাবিবুর রহমান খান। সে ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ করার সময় আমাকে নিয়ে আসলো। বললো, “তুইতো কালচারাল মাইন্ডের লোক, তুই কেন ইঞ্জিনিয়ারিং লাইনে পড়ে থাকবি?”  চাকরি করতাম তখন দিনাজপুরে। তখন ওখান থেকে চলে আসলাম। শুরু হলো ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ দিয়ে। তারপর থেকেই আমরা একের পর এক কিছু ভালো ছবি করার চেষ্টা করলাম।

গ্লিটজ: আপনার পরিচালনায় প্রথম ছবির নায়ক রাজ্জাক। নায়করাজের সঙ্গে আপনার পরিচয় ও সখ্যতার গল্পগুলো শুনতে চাইবো..

ছটকু আহমেদ: আমি যখন পরিচালনায় আসি, তখন বি ক্লাস ছিলেন রাজ্জাক-ববিতা। খুব চলছিলো তাদের ছবি। আমার ছবিটা ছিলো সামাজিক ছবি, বিরহ আর প্রেম। সামজিক একটা সমস্যা ছিলো তখন। অনেক বাড়িতে আইবুড়ো মেয়ের বিয়ে হয় না। কিন্তু তার সুন্দর বোনটাকে পছন্দ করে ফেলে মানুষ। এদিকে বড়বোনটার বিয়ে হচ্ছে না। তো নারীর এই মর্মজ্বালা নিয়ে গল্পটা আমার পছন্দ হয়েছিলো। এটা কলকাতার বিখ্যাত নাট্যকার বিনায়ক ভট্টাচার্যের গল্প। তখন ক্লাসিক করার সময় রাজ্জাক-ববিতা, নতুন-প্রবীর মিত্র, শওকত আকবর, মোস্তফা মঈন, হাসান ইমাম- অনেক বিখ্যাত লোকজন ছিলেন, দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তারা।

আমি যখন রাজ্জাক ভাইকে নিতে গেলাম, সবাই আমাকে ভয় দেখালো। ‘কাকে নিবা? রাজ্জাক ভাইকে? উনি তো অনেক যন্ত্রণা দেয়!’ আমি বললাম, ‘কেন?’ ‘তুমি তো জানো না, উনিতো ওনার এক বন্ধুর সেট ভেঙে দিয়েছিলো। সেট টা তার পছন্দ হয়নি বলে। উনি খুব জ্বালায়!’

তারপরও আমি রাজ্জাক ভাইকে নিয়ে ছবি করার সিদ্ধান্ত নিলাম। রাজ্জাক ভাইকে জিগেস করলাম, ‘রাজ্জাক ভাই আপনি আমাকে কীরকম জ্বালাবেন?’ তিনি বললেন, ‘আমি জ্বালাবো?’ ‘হ্যাঁ আপনি জ্বালাবেন।’ বললেন, ‘কেন?’ লোকে বললো, শুটিংয়ে আপনি দেরীতে আসেন। তিনি বললেন, ‘শুটিংয়ে আপনি আমাকে কটায় চান?’ আমি বললাম, ‘দশটায় চাই।’ উনি বললেন, ‘থাকবো’।

বিশ্বাস করবেন, যতোদিন আমি শুটিং করেছি, প্রত্যেকদিন তিনি দশটায় শুটিংয়ে এসেছেন। প্রাণ দিয়ে অভিনয় করেছেন। এবং সেটে এসে সবাইকে চিৎকার করে বলেছেন, ‘অ্যাই নতুন ডিরেক্টর বলে কেউ কিন্তু দেরি করো না। সবাই লাইট রেডি করো।’ সবাইকে উৎসাহ দিতেন তিনি। আমাদের সেটটা একটা প্রাণবন্ত সেট হয়ে গেলো!

রাজ্জাক ভাইকে দেখলেই সবাই তটস্থ হয়ে যেতো। সবাই তাকে খুশি করার জন্য ঠিকভাবে কাজ করতো। এবং ওই এডভান্টেজটা আমি নিয়ে নিয়েছি। তাকে খুশি করতে গিয়ে সবাই কাজটা ঠিকভাবে করেছে এবং কাজটা ভালো হয়েছে। তাকে নিয়ে এটাই আমার প্রথম ছবি ‘নাতবউ’। ছবিটা খুব বেশি আলোচিত হয়নি। সামাজিক ঘরানার ছবি, তখন ফোকটা একটু বেশি চলতো। তখন অঞ্জু-ওয়াসিম-আহমাদ শরীফ, এরা ছিলো কিং। আর অন্যদিকে ছিলেন রাজ্জাক ভাই। 

তো এরপরে আমার প্রডিউসার বললো একটা ফোক ছবি বানান। ফোক ছবির গল্পটা যখন ঠিক হলো তখন আমি বললাম, ‘এটা করবে রাজ্জাক ভাই।’ সবাই বললো, ‘রাজ্জাক ভাই কেন? এটা অঞ্জু-ওয়াসিমকে নিন।’ আমি বললাম, ‘রাজ্জাক ভাই আমার প্রথম ছবিটা করলো, এত সহযোগিতা করলো, আমি তার কাছে যাবো, উনি গল্প শুনে যদি রাজী না হয় তখন হবে।’

রাজ্জাক ভাইর কাছে গিয়ে বললাম, এরকম একটা ফোক গল্প করছি। তিনি বললেন, ‘আমার কাছে কেন? অঞ্জু-ওয়াসিমকে নাও।’ ‘ঠিক আছে অঞ্জু-ওয়াসিমকে নিচ্ছি, কিন্তু আপনার কাছে একটা কথা আছে।’ ‘কি কথা?’ ‘আমার ছবিটাকে উদ্বোধন করতে হবে আপনাকে।’ সবাই বললো, ‘রাজ্জাক ভাই আসবেই না।’ আমি বিশ্বাস করতাম, রাজ্জাক ভাই আসবে। উনি আসলেন, আমার ‘রাজদণ্ড’ ছবিটার মহরত করলেন। এরপর থেকে যখনই রাজ্জাকভাইর কাছে গিয়েছি, যে কাজেই গেছি তিনি সহযোগিতা করেছেন।

গ্লিটজ: জীবনীর ব্যাপারে তার সঙ্গে কবে আলাপ হলো?

ছটকু আহমেদ: গতবছর অক্টোবরের দিকে তার সঙ্গে এটা নিয়ে আলাপ হয়। আমাদের যখন মনে হলো, তারও তখন মনে হলো। মনে হওয়াটা মিলে গেছে বলেই হলো। আমি চেয়েছিলাম যে রাজ্জাক ভাইকে নিয়ে কিছু একটা করি, কেননা জীবনী সবাই মারা গেলে লিখে। জীবদ্দশায় তাকে নিয়ে একটা বই বের করার আমার খুব ইচ্ছা ছিলো। তারও ইচ্ছা ছিলো।

আমরা তিনদিন তার কাছে গিয়েছি এবং আলাপ করেছি। তারপর লেখার পর, আবার তার কাছে গিয়ে আলাপ করেছি। আমার কাছে যেটা ভালো লেগেছে, তিনি খু্ব কম্প্যাক্ট বলেছেন। নিজ থেকেই আমি যদি কোন পয়েন্ট হারিয়ে ফেলতাম তিনি পয়েন্ট ধরিয়ে দিতেন।

গ্লিটজ: বইটি আত্মজীবনী না জীবনীগ্রন্থ? কী নির্দেশনা ছিলো নায়করাজের পক্ষ থেকে?

ছটকু আহমেদ: উনি আত্মজীবনী করতে বলেননি। উনি চেয়েছিলেন জীবনীগ্রন্থ। যেটার মধ্যে আমার নিজের কথাও আছে, রাজ্জাক ভাইর কথাও আছে। একটা আত্মজীবনী তো মিনিমাম দুইশ পৃষ্ঠা হয়। রাজ্জাক ভাইর তো অতো বলার মতো অবস্থা ছিলো না। তিনি সংক্ষিপ্ত বলেছেন। ছোটবেলাটা বলেছেন, তার কৈশরটা বলেছেন, তার জন্মকালটা বলেছেন। তার দেশত্যাগ করে এখানে আসা, রিফিউজি হয়ে বউ বাচ্চা নিয়ে ঢাকা স্টেডিয়ামে, পথে পথে থাকা। তারপর কাজের জন্য ছুটে বেড়ানো সবকিছু বলেছেন।

কিন্তু এগুলোকে যখন আমি জীবনী করবো, তখন আমি আরও বিস্তারিত লিখবো। কিভাবে এলেন, কিভাবে থাকলেন- সেসময় ১৯৬৪ সালে স্টেডিয়ামে অনেক লোক থাকতো। সবকিছু ডিটেইল করে আমি জীবনীগ্রন্থটা লিখছি। আত্মজীবনী হলে উনার বলা কথাগুলোই শুধু থাকতো। এখানে রাজ্জাকভাইর পাশাপাশি আমারও কিছু বর্ণনা থাকবে সাহিত্যরস যুক্ত করে।

গ্লিটজ: তার তো জীবনীগ্রন্থটা দেখা হলো না...

ছটকু আহমেদ: রাজ্জাক ভাইয়ের হঠাৎ চলে যাওয়াটা আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য বিশাল একটা আঘাত। কেননা রাজ্জাক ভাই মনে প্রাণে একজন চলচ্চিত্র নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। সারাক্ষণ ধ্যান করতেন চলচ্চিত্র নিয়ে, সারাক্ষণ চিন্তা করতেন চলচ্চিত্র নিয়ে- কী করে চলচ্চিত্রের সংকটগুলো কাটিয়ে ওঠা যায়। একেকটা সংকট হতো আর সে সংকট থেকে কিভাবে বের হবে সেই চিন্তা করতো। এফডিসিতে ঢুকলে কোথায় পাতা পড়ে আছে, কোথায় ময়লা পড়ে আছে লক্ষ্য করতেন।

চলচ্চিত্রের প্রতি তার প্রেমটা, এফডিসির প্রতি মায়ামমতাটা সবসময় দেখেছি। চলচ্চিত্রের জন্য তিনি একদম নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। সিনেমা হলে সিনেমা চালাতে কী সমস্যা, আর্টিস্টদের কী সমস্যা, নতুন ডিরেক্টর আসছে কিন্তু ক্যারেক্টার তৈরি করছে না কেন- এসব নিয়ে তিনি খুব ভাবতেন। সিনেমার প্রজেকশন সিস্টেম নিয়ে তিনি খুব চিন্তিত ছিলেন। ভালো ভালো সিনেমা হলে মেশিন নাই। মেশিন আমাকে ভাড়া করে দিতে হবে, সে মেশিনের ভাড়ার টাকায় হল দিবো, তারা সিনেমা চালাবে, ফিফটি পার্সেন্ট টাকা তারা নিয়ে যাবে- আমার সাথে এগুলো নিয়ে আলাপ করতেন।

আমার কাছে এটাই অবাক লাগতো যে, এই লোকটা এখনতো আর চলচ্চিত্রের ওপর নির্ভরশীল না- অনেক ব্যবসা, অনেক কাজ। কিন্তু রাজ্জাক ভাই চলচ্চিত্রের প্রতি এতই নিবেদিত ছিলেন যে তার দুই ছেলেকেও চলচ্চিত্রে নিয়ে এসেছিলেন। একারণে আমার মনে হয়, রাজ্জাক ভাই নিজেই একটি চলচ্চিত্র। সেটি তিন ঘন্টার নয়, তিনশ পঁয়ষট্টি দিনের নয়, সেটা ছিয়াত্তর বছরের চলচ্চিত্র- রাজ্জাক ভাইয়ের জীবন।

গ্লিটজ: নায়করাজের জীবন থেকে নতুন প্রজন্ম কিভাবে অনুপ্রাণিত হতে পারেন বলে মনে করেন?

ছটকু আহমেদ: এটাই জীবনীগ্রন্থের উদ্দেশ্য। রাজ্জাক ভাই কী করতেন, কী ভাবতেন, কীকরে তার চলচ্চিত্রের জীবনটাকে মেনটেইন করতেন, কীভাবে তিনি চলচ্চিত্রে এলেন- এটা যেন সবাই জানতে পারে।

খুব সুন্দর একটা কথা তিনি বলেছিলেন- ‘কবরীর সাথে আমার প্রেম ছিলো। কিন্তু সেটা দৈহিক প্রেম নয়, সেটা চলচ্চিত্রের জন্য প্রেম।’

এই প্রেমটা যদি চলচ্চিত্রের সবার থাকতো, তাহলে চলচ্চিত্র অনেকদূর এগিয়ে যেতো। তিনি খুব জুটিতে বিশ্বাস করতেন। জুটি একটা থাকলে দর্শকের আগ্রহ থাকবে জুটির জন্য। শাকিব-অপুর জুটিটার কথাও তিনি খুব বলেছিলেন। এটা যদি টিকে থাকতো, তাহলে আমাদের আরেকটা জুটি তৈরি হয়ে যেতো। আনফরচুনেটলি সেটা টিকলো না।

তো, চলচ্চিত্র সবসময়ই তার মাথায় ছিলো। মৃত্যুর আগেও ডাক্তাররা যখন তাকে অভিনয় করতে নিষেধ করেছেন, তখনও তিনি ছবি করার কথা ভাবছিলেন।  তখনও বলতেন, ‘আপনি স্ক্রিপ্ট নিয়ে আসেন না কেন? একটা ভালো গল্প দেন না কেন? কিসব গল্প হয়, মারামারি, কাটাকাটি বাঁদরামি টাইপের গল্প। একটা সামাজিক গল্প তৈরী করে দেন না কেন?’ এইতো কিছুদিন আগে বাপ্পার যে লাস্ট ছবিটা ছিলো ‘কার্তুজ’, ওইটা নিয়েই তার সাথে কতো কথা হয়েছে। তিনি গেছেন, চলচ্চিত্রকে নিয়েই গেছেন; চলচ্চিত্রকে ছেড়ে যাননি।

গ্লিটজ: এখনতো মৌলিক গল্পের খুব সংকট। ভালো গল্পের অভাবে দর্শক হলবিমুখ হয়ে পড়েছেন। একজন সফল কাহিনীকার হিসেবে আপনি কি বলবেন এ সংকট নিয়ে?

ছটকু আহমেদ: গল্পটা হচ্ছে ছবির প্রাণ। আর্টিস্ট ভালো নিতে হবে, সেটটা ভালো হতে হবে সবকিছুই ভালো হতে হবে। কিন্তু তারচেয়েও বড় কথা, গল্পটা ভালো হতে হবে। সিরাজ সাব বলে একজন ভালো ডিরেক্টর ছিলেন, অনেক বড়বড় আর্টিস্ট দিয়ে ছবি বানিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু তার ছবি চলেনি। কারণ গল্পটা হচ্ছে মেইন।

আগে আমাদের গল্প লেখার জন্য কোথায় কোথায় নিয়ে যেতো, ডাকবাংলো রিজার্ভ করে নিয়ে গল্প লেখাতো, বড় বড় হোটেল, ঢাকা ক্লাবে নিয়ে গল্প লেখাতো। সেসব জায়গার কথা বলছি না। একটা গল্প লেখার জন্য যে স্বাধীনতা-সম্মান দিতো সেসময়, এখন আর সেটা কেউ দেয় না। গল্পের একটা দাম ছিলো।

এখন যে গল্পকাররা আসেন তারা একটা গল্প মাথায় নিয়ে আসেন, এবং পরে ওটাকে মানুষ করতে যান। গত দুই তিন বছরে যে ছবি চলছে না এর মধ্যে কিন্তু আমার ছবি নেই। আমাদের কাছে আসে না। মনে করে যে, এরা সিনিয়র। এদের কাছে গেলে স্যার বলতে হবে, আপনি বলতে হবে, ডোমিনেট করতে পারবো না, এটা লেখ ওটা লেখ ওই সিকোয়েন্সটা দাও। ওরা এমন গল্পকার নিয়ে আসে যাদের ওরা ডমিনেট করতে পারবে। কিন্তু আমরা চাই ওরা আসুক। কেননা, গল্প ছাড়া ছবি চলবে না। যতো টাকা লাগাও, যা কিছু করো। লোকে টাকা লাগাবে কি জন্য? গল্পের জন্যইতো। গল্পকে আগে প্রেফার করতে হবে। গল্পকে দাম দিতে হবে। হান্ড্রেড পার্সেন্ট চ্যালেঞ্জ করে যাচ্ছি, গল্প যদি সঠিক নির্বাচন করে গল্প অনুযায়ী যদি মেকিংটা হয়, শিল্পী নির্বাচন হয়, সবকিছু ঠিক হয়- সিনেমা সুপারহিট হবেই।

গ্লিটজ: ‘এক কোটি টাকা’ নামে নতুন একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন। সেটার নির্মাণকাজ কতদূর এগোলো?

ছটকু আহমেদ: চলচ্চিত্রটির কাজ ৬০/৭০ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। মাঝে কিছুদিন আমার অসুস্থতার কারণে কাজ বন্ধ ছিলো আবার শুরু হবে। চলচ্চিত্রটির কেন্দ্রিয় চরিত্রে অভিনয় করছেন ডিপজল, আছেন আঁচল, বাপ্পি, শিরিন শিলা সহ আরও অনেকেই।