আদনান আল রাজীব: শূন্য থেকে শিখরে

‘বিকাল বেলার পাখি’ নাটকের নির্মাতা আদনান আল রাজীবের জীবনের কথা, বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত পরিবারের এক ছেলের স্বপ্নপূরণের গল্প ।

সেঁজুতি শোণিমা নদীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Sept 2017, 04:04 PM
Updated : 3 Sept 2017, 06:58 AM

তিন ভাই-বোনের ছোট্ট সংসার। গৃহবধূ মা আর ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে কাজ করা বাবার এই সংসার আর দশটা মধ্যবিত্ত পরিবারের মতোই। বড় মেয়েটার বিয়ের বয়স হয়েছে, পাত্রপক্ষ দেথতে আসতে চায়। ছেলেটা ছন্নছাড়া, সারাদিন ক্রিকেট নিয়ে পড়ে থাকে। বাবার সঙ্গে ছেলেরসম্পর্কটা মান-অভিমানের। সংসারে আঁধার ঘনিয়ে আসে তখনই, যখন সারাজীবনের সঞ্চয় নিয়ে বাসায় ফিরতে গিয়ে সব টাকা খুইয়ে ফেলেন বাড়ির কর্তা। গোটা পরিবার যখন হঠাৎ পথে বসার উপক্রম, ঠিক সেই সময় প্রথমবারের মতো দায়িত্বশীল হয়ে উঠতে শুরু করে ছেলে। বুঝতে ‍শুরু করে বাবার জীবন সংগ্রামকে।

গল্পটা খুব চেনা চেনা লাগছে? ঠিক ধরেছেন; রোজার ঈদে ছবিয়াল রিইউনিয়নের উদ্যোগে বানানো ‘বিকাল বেলার পাখি’ নাটকের গল্প এটি। ফজলুল রহমান বাবু অভিনীত নাটকটির খুব সাধারণ কিন্তু হৃদয়স্পর্শী গল্প আর অন্যরকম নির্মাণ মুগ্ধ করেছে অনেককেই। কিন্তু এখন যদি বলি গল্পটি আসলে নির্মাতা আদনান আল রাজীবের নিজের জীবনের? খুব বেশি অবিশ্বাস্য লাগছে কী?

অবিশ্বাস্য লাগারই কথা। রানআউট প্রোডাকশন্সের মতো সফল একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান তৈরি করে ফেলেছেন যে তরুণ ৩০ পেরুনোর আগেই, তাকেও কি শুরু করতে হয়েছিল একেবারে শূন্য থেকেই?

“আমার বাবা ইমপোর্ট-এক্সপোর্টের ব্যবসা করতেন। আমরা বরাবরই মিডলক্লাসের ফ্যামিলি ছিলাম। এরপর বাবার ব্যবসায় ধস নামলো। আমরা লোয়ার মিডলক্লাসে চলে গেলাম। প্রায় গরীবই হয়ে গেলাম বলা চলে…” নিজের জীবনের গল্পটা নিকেতনে নিজের অফিসে বসে এক বৃষ্টি ভেজা বিকেলে এভাবেই বলছিলেন আদনান আল রাজীব।

“আমার বড় বোন আমাকে বললো কিছু একটা করতে, যাতে অনন্ততঃ নিজের খরচটা চালানো যায়। টিউশনি করার চেষ্টা করলাম। কিন্তু আমি আসলে খুব বেশি ইন্টরেস্টিং টিচার না। তাই ওটাও চললো না খুব বেশিদিন। এরপর আপু বললো, সে মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী নামের একজনকে চেনে। বিগশট ডিরেক্টর। খুব নাকি ভালো মানুষ।তার সঙ্গে একবার দেখা করতে, যদি কিছু হয়...”

এরপরই আসলে বদলে গেল সব। এর আগে দার্জিলিঙের বোর্ডিং স্কুলে পড়ে আসা আদনান আসলে জানতেনও না ফিল্ম মেকিং কী জিনিস। এই পেশাকে কখনও জীবিকা হিসেবে নেবেন, ভাবেননি সেটাও।

আদনানের ভাষ্যে, “উনি আমার সঙ্গে কথা বললেন। তারপর বললেন, ঠিক আছে, তুমি কাজ কর। দেন আমি উনার এডি হিসেবে কাজ করলাম। তখনও আমি জানতাম না অ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টরের কাজ কী, কদর কী বা ফিউচার কী!”

সময়টা ২০০৪-এর শুরু। সবে ‘ব্যাচেলর’ বানিয়ে সিনেমায় হাতেখড়ি হওয়া মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীর ভাই-বেরাদারদের ডেরায় পৌঁছে গেলেন ১৭ বছর বয়সের আদনান।

লাজুক কিশোর আদনানকে বলা হয়েছিল সকাল আটটায় যেতে, ঠিক আটটাতেই ফারুকীদের মহাখালির ডিওেএইচএসের সিক্সটিনাইন হাউজে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শুটিংবাড়ির আটটা মানে যে আসলে সকাল দশটা, সেটা বুঝেছিলেন ক্ষুধা পেটে দুই ঘন্টা অপেক্ষা করার পর!

“তারপরে সরোয়ার ভাই উঠলেন ঘুম থেকে। হাফপ্যান্ট পরা একটা লোক, উপরে ভেস্ট পরা। দেখলাম, একটা সিগারেট ছিঁড়ে অর্ধেকটা মুখে নিয়ে টানতে টানতে বললেন, ‘হ্যাঁ আদনান, আসছো তুমি?’ অর্ধেকটা সিগারেট কারণ তখন উনি স্মোকিং কুইট করতে চাচ্ছেন। তারপরেই শুটিং শুরু হয়ে গেল...”

এরপরই আসলে শুরু হয়ে গেল আদনান আল রাজীবের নির্মাতা জীবন। প্রথমদিনই খুব সিরিয়াস শুটিঙের মাঝখানে হেসে ফেলেছিলেন; তারপরই জানতে পারেন শুটিং মানে পিনপতন নিরবতা!

প্রথমদিনেই পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন ১০০ টাকা! সেই টাকায় যাওয়া-আসার পরও বেঁচে যাওয়া পঞ্চাশ টাকায় প্রেমিকার সঙ্গে সেরেছিলেন ফোনালাপ!

সেই যে শুরু, আর থামেননি আদনান। ফারুকীকে গুরু মেনে, ছবিয়ালকে নিজের ঘর মনে করে, ভাই-বেরাদারদের আপন করে থেকেই গেছেন নির্মাণের জগতে।

ফারুকীর অবদান নিজের জীবনে কতটা- এটা বোঝাতে তিনি বললেন, “উনি ছাড়া তো আমার আসলে ফিল্ম মেকিঙে আসা হতো না ফার্স্ট অফ অল। উনার কাছ থেকে আমার অনেক কিছু নেওয়া। অ্যাজ আ পার্সন আমি অনেক কিছু শিখেছি তার কাছ থেকে। ফিল্মমেকিঙের পুরোটুকুই তো তার অবদান। কীভাবে তিনি গল্পটা বলতেন, কীভাবে ব্রেইনস্টর্মিং করতেন, একটা সিম্পল গল্পকে ইন্টরেস্টিংভাবে পোর্ট্রেট করতেন, কী প্রসেসের থ্রুতে যেতেন- ওগুলো অনেক বেশি প্রভাব ফেলেছে আমার উপরে। ”

এই ‘সরোয়ার ভাই’য়ের ছায়াতেই বেড়ে ওঠা গোটা ছবিয়াল পরিবারের। বললেন সেই গল্পও।

“সরোয়ার ভাই আসলে মানুষটাই অন্যরকম। উনি আসলে একা চলতে পছন্দ করেন না কখনও, সবসময়ই তার আসলে অনেকজনকে লাগে। যেটা আসলে আমাদের মধ্যে চলে এসেছে। আমাদের আর একা থাকতে ভালো লাগে না। দশ-বার জনকে নিয়ে একসঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে ভালোলাগে, আড্ডা দিতে ভালো লাগে। তার চরিত্রটাই আসলে এমন যে তিনি বন্ধুদের অনেক পছন্দ করেন। চারপাশে লোকজন থাকাটা অনেক পছন্দ করতেন এখনও করেন। যাতে আসলে সবসময় শেয়ারিংটা চলতে পারে।”

আর ক্রিয়েটিভ স্পেসে আসলে শেয়ারিং যত বেশি হয় তত বেশি ভালো তো। সেই জায়গা থেকে আমাদের সবাইকেই তিনি সাপোর্ট দিয়েছেন। উনার কাছে আমরা যারা প্রথম দিকে গিয়েছিলাম, আই গেস উই ওয়্যার ট্যালেন্টেড, বাট ডিডন্ট হ্যাভ মাচ মানি। কারো ফিনান্সিয়াল সাপোর্টদরকার ছিল, কারো অন্য সাপোর্ট দরকার ছিল। কারো বাসা নাই ঢাকায়… কেউ এসেছে ফিল্মমেকিংটাই করতে, কিন্তু ঢাকায় কাউকে চিনে না। উনার জায়গা থেকে উনি সবসময় আমাদের সেই সাপোর্টগুলো দিতেন।”

আদনান আল রাজীবের মতে নিতান্ত সাধারণ কিন্তু স্বপ্নবাজ তরুণদের নির্মাতা হিসেবে গড়ে দেওয়ার এক দারুণ ক্ষমতার অধিকারী মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী। আর একজন নির্মাতা ও সংগঠক হিসেবে এটাই তার সাফল্য।

ফারুকীর এই সাফল্যের কারণেই ‘সিক্সটিনাইন’, ‘৫১বর্তী’র মতো মেগা সিরিয়ালগুলো জনপ্রিয়তা পেয়েছে বলে মনে করেন আদনান। আর এরকম সাংগঠনিক মানসিকতার অভাবই পরবর্তীতে দেশের নাটকের বাজারে একটি বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয় বলেও মনে করেন তিনি।

২০০৮-০৯ সালের পরবর্তী সময়টাতে টিভি নাটকে শূন্যতা সৃষ্টির বিষয়টা নিয়ে তিনি বলেন,  “যারাই আসলে ওই সময় ভালো কাজ করছিল, ওরা টিভি থেকে বের হয়ে গেল। বিকজ দে ওয়ান্টেড টু মুভ অন। কারণ আমরা যারাই এখানে কাজ করছি, আমরা কেউই আসলে এখানেসবসময় আটকে থাকতে চাই না। আমরা নেক্সট লেভেলে যেতে চাই। সুতরাং ওই সময়টাতে যারাই আসলে টিভি থেকে বের হয়ে গেলেন, তারা কোনো ভালো নেক্সট জেনারেশন দিয়ে যেতে পারেননি।”

নির্মাতাদের উপর টিভি চ্যানেলগুলোর হম্বি-তম্বিকেও মানের অবনতির এক বড় কারণ বলে মনে করেন তিনি।

নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বললেন, “একটা টিভি চ্যানেলে আমি যখন আমার প্রথম নাটকের গল্প নিয়ে যাই, ওরা আমাকে বললো, “এটা খুব ভালো গল্প। এক কাজ কর, এটাতে তুমি অমুক নায়ক-নায়িকাকে নাও।” আমি বললাম, এই ক্যারেক্টারে তো উনাকে চিন্তা করা হয়নি। অন্যএকজনকে নিই, যাকে এটাতে মানাবে। ওরা বললো, না না, উনাকে না নিলে তো নাটক হবে না!”

“বেসিক্যালি এগুলোই হচ্ছে। টিভি চ্যানেলের কাছ থেকে আমাদের কাছে নেগেটিভিটি আসছে। তারা সিলেক্ট করে দিচ্ছে নাটকে কারা অভিনয় করবে। হ্যাঁ, আমি বুঝতে পারছি যে ওরা হয়তো ওদের মার্কেটিঙের জায়গা থেকে এরকম চিন্তা করছে। ওরা ভাবছে, এরকম স্টাররা থাকলে হয়তো নাটকটা ওরা বেশি দামে বেচবে। ঠিক আছে, ফাইন। কিন্তু সব গল্পেই যদি উনারা এরকম করে, তাহলে তো ডিরেক্টরের আর কোনো জায়গা থাকে না!”

পাশাপাশি এই সময়ের নির্মাতাদের একই কুমিরের ছানাকে বারবার নানান নাটকে দেখানোর ফর্মুলা তত্ত্বেরও সমালোচনা করলেন আদনান।

“একটা ধরণ তৈরি হয়ে গেছে যে ‘সেলফি, ইয়াং ছেলেপিলে, পাশের বাসা’- এরকম একটা ফর্মুলা তৈরি হয়ে গেছে। আর টিভি চ্যানেল থেকে শুরু করে, ডিরেক্টর, প্রোডিউসর- এরা সবাই বিশ্বাস করতে শুরু করেছে যে এই জেনারেশন এই ফর্মুলাই খাবে। ”

“যে কোনো চ্যানেলে যান- একইরকমের গল্প আপনি আঠারোটা দেখতে পাবেন। একই শার্ট পরে একই ক্যারেক্টার আঠারোটা নাটকে অভিনয় করছে। এই নাটকে হয়তো ভদ্রলোকের রোলপ্লে করছে, আরেকটা সেইম গল্পের অন্য চ্যানেলের নাটকে দেখবেন সেই একই শার্ট পরে একই চুলের স্টাইল নিয়ে সেই একই মানুষ চোর হয়ে গেছে,” হাসতে হাসতে বললেন তিনি।

এরকম অবস্থা থেকে উত্তরণ পেতেই গেল রোজার ঈদে ফারুকীর উদ্যোগে হয়ে গেল ছবিয়াল রিইউনিয়ন। এরই অন্তর্গত ছিল ‘বিকাল বেলার পাখি’ নাটকটি।

নিজের নাটক প্রসঙ্গে আদনান বলেন, “এই নাটকটি যে খুব অন্যরকম গল্পের- সেরকম কিন্তু না। এরকম গল্প ছোটবেলায় আমি হুমায়ূন আহমেদের বইয়ে পড়েছি। এরকম গল্প মানুষের রিয়েল লাইফে অহরহ হয়। আমার লাইফে এরকম ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আমি যেটা করতে পেরেছি,সেটা হলো, আই ব্রোক অল দ্য নর্মস। আর যে ধরণের ফিকশন মানুষ এখন দেখে- ওই ধারণার বাইরে গিয়ে যেটা বলতে চেয়েছি, সেটা বলে দিয়েছি।”

নিজের বিজ্ঞাপন নির্মাণের ক্ষেত্রেও ঠিক একইরকমভাবে কাজ করতে পছন্দ করেন আদনান। তার মতে, “আমার যেটা হয় যে, আসলে গল্প ভালো হলে অন্য কোনো কিছু খেয়াল করি না।”

এই ‘গল্প ভালো লাগা’র সূত্র ধরেই কিছুদিন আগে তিনি নির্মাণ করলেন মালা শাড়ির বিজ্ঞাপন। ষাট-সত্তরের দশকের আটপৌরে বাঙালি নারীর শাড়ি পড়ার সেই হারানো নস্টালজিয়াকে যেন নতুন করে তিনি ফিরিয়ে আনলেন এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ঝড় তুললো বিজ্ঞাপনটি।

সান কমিউনিকেশন্স-এর প্রধান তানভীর হোসেনের পরিকল্পনায় এই বিজ্ঞপনটি নির্মাণ করেন তিনি, যার ডিরেক্টর অফ ফটোগ্রাফি ছিলেন ‘মনপুরা’ কামরুল হাসান খসরু। আদনান আল রাজীবের মতে, “ওয়ান অফ দ্য মোস্ট ট্যালেন্টেড পার্সন আই এভার ওয়ার্কড উইথ। বাংলাদেশের সৌন্দর্যকে তুলে ধরার ব্যাপারে সুখ্যাতি আছে তার।”

অথচ’ শুরুতে নাকি মালা শাড়ির কর্তৃপক্ষের বাঁকা মন্তব্যের কারণে প্রায় ভেস্তেই যেতে বসেছিল সমস্ত পরিকল্পনা।

“ক্লায়েন্টরা কিন্তু আসলে চাচ্ছিল না এরকম গল্প। উনারা এমন অ্যাড চাচ্ছিলেন যেটা পাকিস্তানে অহরহ হয়। যেটা আমরা পাকিজা শাড়ির অ্যাডে দেখে এসেছি। খুবই বেসিক। আমরা উনাদেরকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলাম, কিন্তু উনারা বুঝবেন না। তারপরও শেষপর্যন্ত তারা বললেন, ঠিক আছে, করেন।”

“এরপর শুটিং শেষে আমরা যখন ক্লায়েন্টকে দেখালাম, উানারা বললেন, এটা কী এনেছেন আপনি! আমি আর তানভির ভাই মুখ চাওয়া চাওয়ি করছি। উনারা তানভির ভাইকে বললেন, যখন ছবি দেখেছিলেন মডেলদের, তখন তো এরা ফর্সা ছিলো! এখন এরা কালো কেন?!”

গ্রাহকের সঙ্গে প্রাথমিক বনিবনা না হওয়ার পরও শেষপর্যন্ত শ্যামলা মেয়েদের মালা শাড়ির বিজ্ঞাপনটি প্রকাশ করেছিলেন আদনান। আর তাতেই রচিত হয় ইতিহাস!

এভাবে অন্যরকম কাজ করতে করতেই একদিন বাংলাদেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক এক পরিমণ্ডলে কাজ করতে চান আদনান। এরইমধ্যে মুম্বাইভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানের হয়ে ভারতের এখানে ওখানে ঘুরে ওদেশের জন্য একটি বিজ্ঞপনও তৈরি করেছেন তিনি।

কিন্তু আদনানের স্বপ্নটা আরও বড়। পছন্দের নির্মাতা ড্যারেন অ্যারনফস্কির মতো নিজস্ব ঢঙে ধ্রুপদ গল্প বলার স্বপ্ন দেখেন তিনি; যার দর্শক কেবল বাংলাদেশ নয়, হবে গোটা বিশ্বের।

 বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত পরিবারের এক ছেলে ছোট ছোট স্বপ্নপূরণ শেষে একদিন তার বড় স্বপ্নটা পূরণ করে গোটা বিশ্বের কাছেই নিজেকে প্রমাণ করবেন- আদনান আল রাজীব-এর উপর এখন এই আস্থাটা রাখাই যায়!