গ্লিটজ: তৃতীয়বার জুটি বাঁধছেন জিৎ-এর সঙ্গে। কেমন লাগছে?
নুসরাত ফারিয়া: ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর মজা করে বলেছিলাম, ‘বস-টু’তে আমার আর জিৎ ভাইয়ের কোনো কেমিস্ট্রি ছিল না। কারণ আমাদের চরিত্রগুলোও ওইরকম ছিল না। কিন্তু এই সিনেমায় তিনগুণ কেমিস্ট্রি থাকবে। এটা পুরোটাই রোমান্টিক-কমেডি ফিল্ম।
গ্লিটজ: ক্যামেরার পেছনে দু’জনের কেমিস্ট্রি কেমন?
নুসরাত ফারিয়া: খুবই ভালো। উনার সঙ্গে কাজ করে খুব কমফোর্ট ফিল করি। উনি ভীষণ হেল্পফুল একজন কো-আর্টিস্ট।
গ্লিটজ: সিনেমায় আপনার চরিত্র নাকি পুলিশের? চোর-ডাকাত তাড়িয়ে হিরোর সঙ্গে কেমিস্ট্রি ঠিক কতটা জমে উঠবে?
নুসরাত ফারিয়া: পুলিশও রোমান্স করতে পারে-এটাই ডিফারেন্ট। কীভাবে সেটা হবে এখনই বলতে চাচ্ছি না। সেটা দেখতেই সিনেমাহলে যেতে হবে। তবে এতটুকু বলবো, এটা অনেকটা পুলিশের চোর ধরার কাহিনি।
গ্লিটজ: চরিত্রটির জন্য নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত করছেন?
নুসরাত ফারিয়া: দিন দশেক ধরে প্রস্তুতি চলছে। আগের প্রত্যেকটা সিনেমায় আমার লুক থেকে ফিটনেসের ছোটখাট কিছু পরিবর্তন আনতে হয়েছিল। কিন্তু ডিরেক্টর বললো, এই ছবিতে আমার কোনো চেঞ্জ থাকবে না। উনি বলেছেন, যেরকম আছিস সেইরকম থাকবি!
গ্লিটজ: যৌথ প্রযোজনা নিয়ে চলমান আন্দোলন সিনেমাকে প্রভাবিত করবে ? কী ভাবছেন?
নুসরাত ফারিয়া: যৌথ প্রযোজনার যাবতীয় নিয়ম মেনেই ফিল্মটা বানানো হচ্ছে। আশাকরি সমস্যা হওয়ার কথা না। তারপরও যদি কিছু হয় সেটা প্রডিউসারদেরই ভালোভাবে দেখে নেয়া ভালো।
গ্লিটজ: প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজের সঙ্গে আপনার সম্পর্কটা নাকি ভালো যাচ্ছে না? গুঞ্জন চলছে, জাজ ছাড়ার পরিকল্পনাও নাকি করেছেন?
নুসরাত ফারিয়া: জাজ ছাড়ছি না। জাজের সঙ্গে আরো তিন বছরের চুক্তি আছে। জাজের সঙ্গে থাকলেও এখন থেকে বাইরেও কাজ করতে পারব। ব্যাপারটা এইরকম ছিল। কিন্তু সেটা একটু অন্যভাবে ব্যাখ্যা করেছেন অনেকে।
গ্লিটজ: গুঞ্জনগুলো কি আপনার সঙ্গে জাজের সম্পর্কে প্রভাব ফেলছে ?
নুসরাত ফারিয়া: আমার সঙ্গে জাজের সম্পর্কটা খুব বেশি প্রফেশনাল। পুরোটাই কাগজে-কলমের সম্পর্ক। আমাদের ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক নেই। কাগজে কলমে যেটা লেখা আছে, সেভাবেই কাজ হবে। এর বাইরে আমিও একচুল কাজ করবো না, তারাও একচুল কাজ করবে না। এটা আমার ও জাজের জন্যই ভালো।
নুসরাত ফারিয়া: বাইরের সিনেমাগুলো আমার মন মতো হয় না। সেই জন্যই কথা বাড়াই না। যদিও প্রায়ই অফার পাচ্ছি।
গ্লিটজ: আপনার অভিনীত সিনেমার তালিকায় বেশিরভাগই যৌথ প্রযোজনার। দেশীয় সিনেমায় কম দেখা যাচ্ছে। কারণ কী?
নুসরাত ফারিয়া: আমি কিন্তু সর্বসাকুল্যে কম মুভি করি। একটা মুভি করব জান-প্রাণ দিয়েই করবো। ওটাই ভালো হবে, সবাই দেখবে। আমাকে নিয়ে যখন কেউ কথা বলেন, আমার ছয়টা মুভির নাম কিন্তু বলে দিতে পারেন। এটা আমার জন্য ভালোলাগার। মনেই যদি না রাখলো তাহলে সেই কাজ করে তো লাভ নেই। আমি বারো মাসে তেরটি সিনেমা করতে চাইও না। সময়ও নেই। পড়াশোনাও করতে হয়। তার চেয়ে সিলেক্টিভ কাজ করাই বেটার।
গ্লিটজ: জিৎ-এর বিপরীতে সর্বশেষ ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বস টু’ সিনেমাটি আপনার ক্যারিয়ারে কী যোগ করল?
নুসরাত ফারিয়া: ক্রিটিকদের কাছ থেকে শুনেছি, আমার অ্যাক্টিংয়ের ডাইমেশনটা দারুণ ছিল। সবাই আমাকে বাবলি ক্যারেক্টারে দেখে। কিন্তু এই সিনেমায় অন্ধকারে থাকা চরিত্রটা আমি পারবো কীনা সেটা দেখার ছিলো। একই ক্যারেক্টারে অনেক সিনেমায় কাজ করলে কাজের বৈচিত্র থাকে না। সেকারণে একটু পরিবর্তন দরকার ছিলো। বলব, পরিবর্তনটা আমার জন্য দরকারও ছিল।