২০১২ সালে ডিজিটাল চলচ্চিত্র ‘ভালোবাসার রঙ’ ছবির মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া। এরপর ‘পোড়ামন’, ‘অন্যরকম ভালোবাসা’, ‘ভালোবাসা আজকাল’, ‘অনেক সাধের ময়না’সহ আরো বেশ কিছু দেশিয় প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণ করে। ২০১৫ সালের দিকে ‘রোমিও ভার্সেস জুলিয়েট’, ‘অগ্নি-২’, ‘আশিকী’সহ বেশকিছু যৌথপ্রযোজনার সিনেমা নির্মাণ করে। ভালো ব্যবসা করায় প্রতিষ্ঠানটি যৌথ প্রযোজনার দিকেই ঝুঁকতে শুরু করে।
দেশিয় চলচ্চিত্রের পাশাপাশি নিয়মিতভাবেই যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্রে বিনিয়োগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে যৌথ প্রযোজনায় সিনেমা নির্মাণে সবচেয়ে এগিয়ে আছে প্রতিষ্ঠানটি।
চলতি বছরে ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত জাজের দুটি সিনেমাই যৌথ প্রযোজনার। ছবি দু’টির বিরুদ্ধে নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামে চলচ্চিত্র ঐক্যজোট।
আন্দোলনের মুখেই যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নির্মাণ ‘আপাতত’ বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এই মুহূর্তে কী পরিকল্পনা জাজের? কর্ণধার আবদুল আজিজ গ্লিটজকে বললেন, “যৌথ প্রযোজনা বন্ধ হলে তো সমস্যা থাকার কথা না। লোকাল সিনেমা করবো।”
প্রতিষ্ঠানটির সিইও আলিমুল্লাহ খোকন গ্লিটজকে নিশ্চিত করেছেন, “১ আগস্ট থেকে নতুন একটি দেশিয় চলচ্চিত্র আনছে জাজ। ছবিটিতে সবগুলো আর্টিস্টই দেশিয়।”
তবে ছবিটি সম্বন্ধে এর চেয়ে বেশি তথ্য দিতে চাননি তিনি।
পাশাপাশি আরো বেশ ক’টি দেশিয় চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা আছে জাজের। অন্যদিকে জাজের হাতে এখন বেশ ক’টি চলচ্চিত্র রয়েছে। সেগুলোর ভবিষ্যত কী? আজিজ বললেন, “পারমিশন যেগুলোর নেয়া আছে সেগুলোর শুটিংয়ে বাধা নেই। কাজগুলো শেষ করবো।”
দেশিয় চলচ্চিত্র বিনিয়োগ করলেও তার দাবি, লোকাল সিনেমার চেয়ে যৌথ প্রযোজনার সিনেমাই বেশি দেখে দর্শকরা। যৌথ প্রযোজনা বন্ধ হলে সিনেমা হল বাঁচবে না।
অন্যদিকে চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের নেতা ফারুক বলছেন, “যৌথ প্রযোজনাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে নীতিমালা মানলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।”